আব্দুল মালেক, নীলফামারীঃ
নীলফামারী ডিমলায় দক্ষিন তিতপাড়া খানাবাড়ী এলাকার ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম (সরিষা) বড় ছেলে হাসান আলীকে গত ২ জুলাই রাত দশটার দিকে হাজীপাড়া মেন্ডার চৌপথি নামক স্থানে সালিশের নামে ডেকে নিয়ে হত্যা করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবারের লোকজন।
আজ রোববার(২৩ আগষ্ট) বিকালে দক্ষিন তিতপাড়া খানাবাড়ী এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম (সরিষা)। তিনি বলেন.....
আমি আপনাদের (সাংবাদিক) বাড়িতে ডেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সত্য ঘটনা উদঘাটন ন্যায় বিচার দাবী জানাচ্ছি। সূধী,সাংবাদিকবৃন্দ আপনারা জানেন যে, গত গত ২ জুলাই রাত দশটার দিকে হাজীপাড়া মেন্ডার চৌপথি নামক স্থানে আমার বড় ছেলে হাসান আলী স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি আমাদের ধারনা তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
ওই রাতে আমার ছেলে হাসান আলীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকেছে মোঃ নজরুল ইসালাম নজু পিতা. কপর উদ্দিন, মোঃ আব্দুল মান্নান পিতা. লুৎফর রহমান রহমান। মেন্ডার চৌপথিতে ওই রাতে আব্বাস আলীর ছেলে সামছুল হক ও একই এলাকার মুত ভকি মামুদের ছেলে সহিদুল ইসলামের মধ্যে জমি বন্ধকের টাকা নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়।
বৈঠকের এক পর্য়ায়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হাসান আলী, সে উভয় পক্ষের ঝসড়া মিঠমাটের চেষ্টাও করেন। সালিশে ঝগড়া বিবাদ চলাকালীন হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। পূর্বের শত্রুতার জের ধরে সহিদুল ইসলাম অন্যান্যদের সহযোগীদের সহযোগীতায় সেই সালিশ বৈঠকে আমার ছেলেকে মেরেছে বলে আমার ধারনা।
পরে বুকের ব্যাথায় পার্শবতী একটি বেঞ্চে বসার কিছুক্ষন পর স্থানীয় লোকজনসহ তার ছোট ভাই স্বপন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সহিদুল ইসলামের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে আমার ছেলে, তার চক্রান্তে অন্যান্যরা আমাকে দিয়ে একটি অপমৃত্যুও মামলা করিয়েছে।
তাই আবারো বলছি, আমার ছেলের অপমৃত্যু হয়নি, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হাসানের দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে চরম বিপদে আছি। সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার দাবী করছি। এসময় নিহত হাসান আলীর মা হাসনা খাতুন, স্ত্রী মহেসেনা বেগম, দুই মেয়ে মায়া ও জয়া উপস্থিত ছিলেন।
0 মন্তব্যসমূহ