সৈয়দপুরে আ’লীগ নেতাসহ তার পরিবারকে রাজাকার আখ্যা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুরঃ

আদালতের মাধ্যমে বিরোধীয় জমির বিরোধ নিষ্পত্তি হলেও ওই জমিকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ মিথ্যাচার করছেন। প্রতিপক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব ব্যবহার করে প্রতিবেশী আ’লীগ নেতার পিতাকে রাজাকার আখ্যা দিয়ে হেনস্তা করতে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

গতকাল সোমবার মিথ্যা অপপ্রচারের শিকার অভিযুক্ত ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষের মিথ্যাচারের ওই অভিযোগ করেন। শহরের গোলাহাটস্থ নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত মো. ইদ্রিস আলীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার জ্যেষ্ঠ পত্র ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কামাল আহমেদ। 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তিনি ও তার প্রতিবেশী বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান। উভয়ের বাড়ির সীমানায় ফাঁকা জায়গা রয়েছে। গত ২০১০ সালে মতিউর রহমানের স্ত্রী কোহিনুর বেগম ওই জায়গা নিজের দাবি করে আদালতে মামলা করেন। পরে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে আপোষনামা করা হয়। আপোষনামায় ওই জায়গা উভয়পক্ষ ব্যবহার করবে বলে সম্মতি জানানো হয়। অথচ বীর মুক্তিযোদ্ধা ওই আপোষনামা অমান্য করে ওই জমি নিজের দাবি করে একের পর এক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। 

এর আগে ২০০৪ সালেও ওই বাড়ির (ইদ্রিস আলীর বাড়ি) পূর্বদিকের গলিপথ নিয়ে বিরোধে তিনি এলাকার ১৭ জন নিরীহ লোকের নামে মামলা করেন। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালতে ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় গত ২০১১ সালের ৭ জুলাই তাদেরকে বেকসুর খালাস দেন। তারপরও তিনি বিভিন্নভাবে হয়রানির উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করে আসছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধার খেতাব ব্যবহার করে আমাকে (ইদ্রিস আলী) রাজাকার আখ্যা দিয়ে জমি দখলের মিথ্যাচার করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে পুত্র কামাল আহমেদ বলেন রাজাকারের তালিকায় আমার পিতার নাম নেই। অথচ প্রতিপক্ষ মতিউর রহমান নিজের তৈরি করা তালিকায় রাজাকার হিসেবে ইদ্রিস নামে যে দুইজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সে দুইজনের মধ্যে একজন শহরের ইসলামবাগ এলাকার ইদ্রিস আলী সম্পাত ও অপরজন হাওয়ালদার পাড়ার ইদ্রিস আলী। অথচ প্রতিপক্ষ আমার বৃদ্ধ অসুস্থ্য পিতাকে হেনস্তা করতে রাজাকার বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।

সম্মেলনে উপস্থিত সৈয়দপুর ২নং পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিটলার চৌধুরী ভলু বলেন, প্রতিবেশী ইদ্রিস আলীর পুত্র কামাল আহমেদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা। তাকেসহ তাঁর পরিবারকে রাজাকার বলে অপবাদ ছাড়ানো হচ্ছে। প্রতিপক্ষ মতিউর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব ব্যবহার করে আওয়ামী পরিবারকে অযথ হয়রানি করছেন। তিনি বলেন প্রতিপক্ষ এ হয়রানি বন্ধ না করলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ মানববন্ধনসহ  নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ডাবলু, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক চৌধুরীসহ অপপ্রচারের শিকার ইদ্রিস আলীসহ তার পরিবারের সদস্য ও এলাকার সুধিজন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ