দিনাজপুর পার্বতীপুরের প্রকৌশলী শামিম আখতারের করোনা জয়

চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ দিনাজপুরঃ
দিনাজপুরের পার্বতীপুর  করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রকৌশলী শামিম আখতার এখন করোনামুক্ত। দ্বিতীয় দফায় তার নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি তার স্ত্রী ডাঃ আতিকা ইসলাম সর্বক্ষন স্বামীর দেখাশুনা করেন এবং তার পাশাপাশি সবসময়ই ছিলেন তবে তিনি নিজের সুরক্ষার জন্য সবসময় মাস্ক ব্যাবহার করেছেন এবং নিয়ম মেনে চলেছেন। 

তার স্ত্রীর অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি দ্রুত সুস্থ্য জীবনে ফিরে এসেছেন। স্ত্রী তার সাথে সবসময় থেকেও করোনায় আক্রান্ত হননি। পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীরেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি।

হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলা ও নিয়মিত গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করার সুফল পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন করোনাজয়ী প্রকৌশলী শামিম আখতার। সেই সঙ্গে মনোবলও শক্ত ছিল তার।  তিনি আরো বলেন, অবশ্যই আমাদের সচেতন হতে হবে। একটু খেয়াল করে সচেতনতার সহিত চললেই নিজেরও ভালো অন্য মানুষরাও ভালো থাকবে।

আলাপকালে নিজের করোনা পজেটিভ থেকে নেগেটিভে আসার বর্ণনা দেন তিনি। শামিম আখতার দিনাজপুরের বাসিন্দা। তিনি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত আছেন।
প্রকৌশলী শামিম আখতারের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় গত ২০ আগষ্ট তার নমুনা নেওয়া হয়।

দ্বিতীয় দফায় গত ২০ আগষ্টে তার নমুনা সংগ্রহ করে দিনাজপুর ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। হোম কোয়ারেন্টাইনেই থাকা প্রকৌশলী ও তার পরিবারের কাছে এ সুখবরটি পৌঁছে। করোনাকে জয় করা এই  প্রকৌশলী বলেন, নিজের মনোবল সবসময় শক্ত ছিল। করোনাকে জয় করতে পারবেন এমন আত্মবিশ্বাস ছিল। কখনও তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি। পরিবারের লোকজনদেরও তিনি সাহস যুগিয়েছেন।

কীভাবে তিনি সুস্থ হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে শামিম আখতার জানান, হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসার পর থেকে স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তবে বাড়িতে আসার পর জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন।

তিনি আরও বলেন, ওই সময়ে হালকা কাশি ছাড়াও শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করেছেন। এগুলো ছিল মূলত জ্বর, সর্দি, কাশির এন্টিবায়োটিক। বাড়িতে আসার পর থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে পর্যাপ্ত পরিমানে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করেছেন এবং হালকা গরম পানি পান করেছেন। ঘরে বসেই নিয়মিত  চা পান করেছেন তিনি।  

হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলা এবং গরম লবণ পানির গড়গড়া সুফল পেয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় তার নিজ পরিবারের সদস্যরা এবং তার কর্মস্থলের সবাই অনেক খুশি হয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ