আল-আফতাব
খান সুইট,
বাগাতিপাড়া,
নাটোর
প্রতিনিধিঃ নাটোরের
বাগাতিপাড়ায় পেড়াবাড়িয়া
মডেল সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
পৌরসভার প্রাতিষ্ঠানিক
কোয়ারান্টাইনে থাকা
তিন মাসের
শিশু সহ
পাঁচজনের খাবার
নিশ্চিত করেছেন
পৌরসভার মেয়ের
মোশারফ হোসেন।
গতকাল
(১ মে)
"প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে
থাকা তিন
মাসের শিশু
সহ পাঁচজনের
খাবার দেবে
কে?" এমন
শিরোনামে বেশকিছু
অনলাইন নিউজ
পোর্টাল সহ
বিভিন্ন গণমাধ্যমে
সংবাদ প্রকাশের
পরেই গতকাল
রাতে শিশু
খাদ্য সহ
সেই ৫
জন সদস্যদের
খাবার নিশ্চিত
করেছেন পৌরসভার
মেয়ের মোশাররফ
হোসেন।
জানা
গেছে গত
২৭ এপ্রিল
ঢাকা থেকে
আসা তিন
মাসের শিশু
সহ একই
পরিবারের ৫
জন সদস্য
পৌর এলাকার
একটি সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
১৪ দিনের
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে
আছেন। তারা
গণমাধ্যমকর্মীদের অভিযোগ
করে বলেন,
তাদের খাবারের
ব্যাবস্থা নেই
এমনকি কেউ
কোন খোজ
খবর রাখেনা।
বর্তমানে কর্মহীন
হয়ে পরায়
বাড়িতে থেকেও
খাবার জোগান
দেওয়া সম্ভব
না।
তারা
খুব কষ্টে
জীবন যাপন
করছে। তাদের
প্রশ্ন আমরা
কি অপরাধ
করেছি, আমরা
কি খেতে
না পেয়ে
মারা যাবো?
সরকার কি
আমাদের দিকে
তাকাবেন না?
তাদের
অভিযোগ পেয়ে,
পৌর মেয়র
মোশারফ হোসেন
এবং উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা
প্রিয়াঙ্কা দেবী
পালের সাথে
কথা বলা
হলে মেয়ের
বলেন, আমার
কোনো কোটা
বা বরাদ্দ
নেই এইটা
ইউএনও দেখবে
তোমরা তাকেই
বলো। এমনকি
এই কোয়ারান্টাইন
ব্যাপারে কিছু
জানেননা বলেও
জানান। আর
ইউএনও বলেন,
এইটা পৌর
এলাকার তাই
মেয়ের সাহেব
দেখবেন। তবে
তিনি এমন
খবর শুনে
ওই সদস্যদের
বাড়িতে কিছু
খাদ্য সামগ্রী
পৌঁছে দেন।
তবে
মডেল থানার
অফিসার ইনচার্জ
খবরটি শুনেই
ওই পরিবারের
জন্য খাদ্যদ্রব্য
পৌঁছে দেন।
আজ
শনিবার (২
এপ্রিল) এই
বিষয়ে বাগাতিপাড়া
পৌর মেয়র
মোশাররফ হোসেন
বলেন, গতকাল
আমার কথা
বলার মধ্যে
একটু ভুল
ছিল। তবে
৭ নং
ওয়ার্ড কাউন্সিলর
আব্দুল কুদ্দুস
এবং অফিসের
দুইজন কর্মকর্তা
কর্মচারী সেলিম
রেজা ও
উত্তম কুমার
ভৌমিক এর
মাধ্যমে কোয়ারেন্টাইনে
থাকা শিশু
সহ ওই
সদস্যদের জন্য
গতকাল রাতেই
খাবার নিশ্চিত
করেছেন। এবং
এই করোনা
মহামারি পরবর্তী
সময়েও তাদের
সহ অসহায়
সকল মানুষের
পাশে থাকবেন
তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ