নাদিয়া ইসলাম কাজলঃ
দুই দুইবার বদলি আদেশ হলেও টেকনাফ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম আজাদ রহস্য জনক কারনে একই অফিসে থেকে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে একই অফিসে নির্দ্বিধায় চরম অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
সে সরকারি অফিস কে অনেকটা বাসাবাড়িতে পরিণত করেছে। জামাত ঘরানার লোকজনের সাথে তার বিরুদ্ধে নানা সময় অফিসে গোপন বৈঠকের এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একবার
নয় দুইবার বদলি হওয়ার পরেও একই কর্মস্থলে চাকরি যোগদান। সরকারি আদেশ কে অমান্য করে সে টেকনাফ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উঠলেও একই অফিসে উপসহকারী মাধ্যমে সবকিছু সমস্যার সমাধান করে প্রতিনিয়ত দুর্নীতি করে বেড়াচ্ছে।
বিগত আগস্টে মাসে সর্বশেষ তার বদলি আদেশ হয় চট্টগ্রাম কর্ণফুলী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে।
এই বদলি আদেশের আট দিনের মাথায় সে মোটা অংকের বিনিময়ে আবারো টেকনাফ অফিসে চলে আসেন। সরকারি টিকাদান পশুদের প্রশিক্ষণ এবং এই অফিসের গবাদি পশুদের ওষুধপত্র টাকার বিনিময় করার অভিযোগ ও রয়েছে। আজাদ স্থানীয় ফার্মেসিতে সরকারী ওষুধ রেখে ওই ফার্মেসিতে লোকের সাথে অবৈধ টাকা ইনকাম করারও অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় মেসার্স হোসাইন মেডিকো ফার্মেসিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহকারী আব্দুর রহিম আজাদ নিজিই ঔষধ ও গবাদিপশুর টিকা সেখানে রেখে কৌশলে বিক্রি করে তারা।
এদিকে সরকারি ওষুধ ফ্রিতে ঔষধ দেওয়ার কথা থাকলেও ওই ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী হুসাইন আহমদ মিলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।হোসাইন মেডিকোর মেডিকোর মালিক যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি সরকারি ঔষধ ও টিকা বিক্রি করি না,কিন্তু টেকনাফ সদরের মিঠা পানির ছড়া এলাকার একজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান,প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন না পেয়ে হুসাইন মেডিকেলে গেলে এই ঔষধ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা না দিলে দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন ফার্মেসি লোকজন।
টেকনাফ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম আজাদ, এর বিরুদ্ধে ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বাহারছড়া টেকনাফ সদরসহ ইউনিয়নের ভুক্তভোগীদের সারি দীর্ঘ হচ্ছে।ভিজিট বাণিজ্য অনিয়ম দুর্নীতির কারণে খামারী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে খুব উত্তেজনা ভুক্তভোগীদের সাথে আলাপ করে তারা জানান, সাধারণ মানুষের ডাকে তিনি আসেন না। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বা পশু হাসপাতালের সেবা নিতে গেলে ১০০০/১৫০০ টাকা ভিজিট ওষুধের টাকা দিতে হয়। খামারিদের গরু-ছাগলের সমস্যা দেখা দিলে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সেবা নিতে চাইলে সেবা থেকে বঞ্চিত হই খামারিরা। যদি টাকার পরিমাণ বড় হলে সেবা পাওয়া যায়।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হ্নীলা ইউনিয়নের সরকার অনুমোদিত একটি গরুর ফার্ম রয়েছে। চিকিৎসক FMD & PPR টিকাও ভ্যাকসিন চাইলে তিনি বলেন শেষ হয়ে গেছে জানান, আসলে এটা খুবই দুঃখজনক তাদেরকে ফোন দিলে বিভিন্ন মিটিং ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেখানো হয়। টেকনাফ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মুহিবুল্লাহ কাছ থেকে জানতে চাইলে অনেকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে ব্যস্ততা দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে চলেন। সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ও ভুক্তভোগীদের খামারিরা এসমস্ত অনিয়ম থেকে মুক্তি চাই এবং সরকারের সব সুযোগ সুবিধা পাওয়ার প্রত্যাশা করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে আব্দুর রহিম আজাদ উপসহকারী প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা দপ্তর ও ভেটেনারি হাসপাতাল টেকনাফ এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। সেই গোপনীয় একান্ত ভাবে জামায়াতের নেতাদের সাথে গোপনীয় বৈঠকের বিষয় নিয়ে সরাসরি অস্বীকার করেন। এবং তদবির করে টেকনাফ যোগদান করার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ পরিচালক, হুমায়ুন কবির কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে জানান, আব্দুর রহিম আজাদ বিভিন্নভাবে তদবির করে টেকনাফে যোগদান করেন, তার বিরুদ্ধে অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ চট্টগ্রাম অফিসে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছে,পাশাপাশি তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন,তিনি আরো বলেন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ গুলি তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাবে বলে জানান।
0 মন্তব্যসমূহ