সেনা সার্জেন্ট মোবারককে মিথ্যা মামলা দেওয়ায় ভূমি অফিস সহকারী সেলিমের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক: উখিয়া উপজেলা পালংখালী ইউনিয়নের পুরাতন বাজার পেরিফেরীভুক্ত বালুখালী পুরাতন বাজার সরকারি তফসিলভুক্ত জমিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া সরকারি খতিয়ানভুক্ত জায়গা জমিতে অবৈধভাবে পাঁকা দালান নির্মাণ করে বলে উখিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। উল্লেখিত এজাহারে থাকা মোবারক (৩২) পিতা ছৈয়দুল হক। মোবারক একজন সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট,তিনি চাকরিতে কর্মরত আছেন ছৈয়দপুর জেলায়। তাকে সরকারি জমিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া অবৈধ বল প্রয়োগ পূর্বক বাধা প্রদান করার অপরাধ দেখিয়ে জি,আর ১০৪৮/২১ ইং উখিয়া থানা ভুমি অফিস সহকারী সেলিম বাদী হয়ে একটি মামলা

এজহার করেন।

ভুমি অফিস সহকারী কর্মকর্তা সেলিমের এক বা একাধিক দুর্নীতি হতে অনেক ধরনের অভিযোগ রয়েছে। সে আইন লঙ্ঘন করে পারিবারিক জায়গার বিষয় কে কেন্দ্র করে এক নিরীহ সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট কে মামলায় সম্মুখীন করা হয় ।এতে দেখার কেউ নেই।

তথ্যসূত্রে জানা যায় পালংখালী ভূমি অফিস  সহকারি সেলিমের চাকরি জীবনে তিনি  নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন অটেল সম্পদ ও জায়গা জমি এবং ঘরবাড়ি। সেই উখিয়াতে বহুতল ভবন ঘর করেছে প্রায় এক কোটি টাকার বিনিময়ে এবং তার শশুর বাড়ি থেকে একাধিক জায়গা ক্রয় করেছেন বলে জানা যায়।

এই বিষয় নিয়ে পালংখালী ভূমি অফিস সহকারি সেলিমের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান যে আমি উখিয়া থানা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করি, তবে এটা দেখবে উখিয়া উপজেলা ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার ভুমি। অন্যদিকে তার জায়গায় ঘর বাড়ির বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে সেই মোবাইলের লাইন কেটে দেয়। ভূমি অফিস সহকারি সেলিম মানুষকে সেবার নামে তার দিন দিন যে অপকর্ম এতে অনেকই হয়রানি শিখার হচ্ছে বলে জানান এলাকার সচেতন মহল।

উখিয়া থানা জি,আর নং ১০৪৮/২১ ইং মামলাটি সুষ্ঠুভাবে যেন তদন্ত করে দোষীদের কে মামলায় সম্মুখীন করার জন্য দাবি জানান এই মামলা দুই নম্বর আসামি মোবারক সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান যেন মিথ্যা মামলা থেকে তাকে মুক্তি দিতে।

উখিয়া থানা সাব-ইন্সপেক্টর নিরস্ত সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরীর কাছ থেকে মামলাটির বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান যে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি যে মোবারক একজন সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট। তবে তিনি কি ঘটনাস্থলে ছিল কি, ছিল না,আমরা তদন্ত করে আবার একটি পরিপূর্ণ রিপোর্ট দিব। রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলাটি সম্পন্ন হবে বলে জানান। তবে নিরীহ কাউকে মামলার এজাহার করে হয়রানি করা হবে না  উপজেলার সাব-ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ