ডোমারে দূর্গা মন্ডবের নাম পরিবর্তন নিয়ে দ্বন্দ্ব, এক পক্ষের মানববন্ধন


রতন কুমার রায়,স্টাফ রিপোর্টার:
 

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কলেজপাড়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডবে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুঁজা বন্ধের যড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে মানববন্ধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ডোমার বাজার রেলগেট এলাকায় দুপুর ১২ টায় মানববন্ধনের আয়োজন করে কলেজপাড়া সার্বজনীন দুর্গাপুজা মন্ডপ কমিটি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মানববন্ধনকারীদের সমাধানে আশ^স্ত করলে এক ঘন্টা পর মানববন্ধন শেষ করে আয়োজকরা। ক্ষত্রিয় সমিতির নাম বদল করে, পাড়ার নামে পুজার আয়োজন করে গুটিকয়েকজন গন্ডোগোল সৃষ্টি করছে বলে ক্ষত্রিয় সমিতি দাবী করছে। 

কলেজপাড়া সার্বজনীন দুর্গপূুঁজা মন্ডপ কমিটির সভাপতি শ্রী বিপ্লব কুমার অধিকারী (খোকন)’র সভাপতিত্বে এসময় সাধারন সম্পাদক মিঠুন সাহা, সহ-সভাপতি দীপক রায়, করুনা কান্ত রায়, সহ-সম্পাদক চিত্র রায়, কোষাধ্যক্ষ দিলীপ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন রায় বক্তব্য রাখেন।  বক্তরা বলেন, কলেজপাড়া সার্বজনীন দুর্গাপুজা মন্ডপ কমিটি দুর্গা পুজার আয়োজন করে। প্রতিমা তৈরীর কাজ একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় ক্ষতিয় সমিতি সার্বজনীন পুজা বন্ধ করে তাদের নামে পূজাঁ আয়োজন করতে আমাদের চাপ দিচ্ছে। 

এবিষয়েং কেন্দ্রীয় ক্ষত্রিয় সমিতির সাবেক সভাপতি বাবু গোড়াচাঁদ অধিকারী জানান, গত ৪৩ বছর ধরে ওই মন্ডপে ক্ষত্রিয় সমিতির নামে দূর্গা পুজা হয়ে আসছে। এবার হঠাৎ করে কয়েকজন ক্ষত্রিয় সমিতির নাম বদল করে, পাড়ার নামে পুজার আয়োজন করে গন্ডোগোল সৃষ্টি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।   উপজেলা ক্ষত্রিয় সমিতির সাধারন সম্পাদক বিনোদ বিহারী বলেন, ৪৩ বছর ধরে ক্ষত্রিয় সমিতি সার্বজনীন দূর্গা মন্ডব কলেজপাড়া নামে সেখানে পূঁজা হয়ে আসছিলো। হঠাৎ করে এক সপ্তাহ আগে গুটি কয়েকজন হীন উদ্দ্যেশে নাম পরিবর্তন করে কলেজপাড়া সার্ব্বজনীন দূর্গাপূঁজা মন্ডব নাম দিয়ে কার্ড বিলি করেন। আমি ক্ষত্রিয় সমিতির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং পূর্বের নামে পূজা করার আহব্বান করছি।

উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের আহবায়ক শ্রী রামকৃষ্ণ বর্মণ জানান, ক্ষত্রিয় সমিতি সার্বজনীন দূর্গা মন্ডব নামে জেলা প্রশাসনে নিকট তালিকা পাঠিয়েছি। তাপস অধিকারী ও বিপ্লব কুমার অধিকারী তারাও বলেছে পূর্বের নামে পূজা হবে। কিন্তু তারা হঠাৎ করে নাম পরির্বতন করা বিষয়ে পূজা উৎযাপন পরিষদ কোন অপ্রীতিকর ঘটনার দায় নিবে না।  উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি মানববন্ধনে গিয়ে সমঝোতার কথা বলেছি। দুই পক্ষের সাথে বলে আলোচনা করলেই সমাধান হয়ে যাবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ