চাচার প্রতারণায় শিকার ভাতিজা


এন.এম হামিদী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা দরবেশ পাড়ার বাসিন্দা ভাতিজা ফরহাদ নওরোজ নাহিন তার আপন চাচা শহরের সবুজ পাহাড়ার বাসিন্দা একেএম আমিনুল হকের কাছে প্রতারণার শিকার হন। ভুক্তভোগী ফরহাদ নওরোজ নাহিন জানান, চাচা আমার কাছে যে দলিলে জমি বিক্রয় করেছেন সেখানে চাচা নিজেই উল্লেখ করেছেন উক্ত দলিলে কোনো দাগ খতিয়ান সামান্যতম ভুল হলেও নিজ খরচে অন্য দলিল রেজিষ্ট্রি করে দিবেন তিনি। 

কিন্তু আমি উক্ত বিষয়ে চাচাকে একাধিকবার জানালেও তিনি এটির সুষ্ঠু সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেয় না। যার কারণে আমি তার কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই। টাকার প্রয়োজনে ভাতিজার কাছে জমি বিক্রয় করেন চাচা। চাচার উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে জমি ক্রয় করেন ভাতিজা। কিন্তু চাচা তার নিজের অংশের চেয়ে বেশি জমি ভাতিজার কাছে বিক্রয় করার মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয় ভাতিজা।  নীলফামারী জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. মোঃ গোলাম মোস্তফা (সজীব) স্বাক্ষরিত পাঠানো আইনি নোটিস সূত্রে জানা যায়, নাহিনের বাবার মৃত্যুর পর বড় ছেলে হিসেবে নাহিন ধীরে ধীরে তার বাবার রেখে যাওয়া স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমানের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে কিছু জানতেন না। এমতাবস্থায় চাচার টাকার প্রয়োজন হওয়ায় ভাতিজা নাহিনের কাছে জমি বিক্রয়ের প্রস্তাব দিলে নাহিন সেই প্রস্তাবে জমি ক্রয়ে রাজি হন। 

এমতবস্থায় ভাতিজা নাহিনের কাছে গত ২৯/০৮/২০১৬ ইং তারিখ ৬৫৮২/২০১৬ নং একটি দলিল হস্তান্তর করেন চাচা একেএম আমিনুল হক। এস.এ- ১২১৫ নং খতিয়ানের দলিল নং- ৩৮১৮, তারিখ- ০৩/০৫/১৯৬৯ এবং দলিল নং- ১৫৩৬, তারিখ- ০২/০২/১৯৭৬ ইং মুলে চাচা একেএম আমিনুল হক মালিকানার বর্ননা দিলেও দেখা যায় দলিল নং- ৩৮১৮ এর ১৫৩৬ নং দলিলের বর্ননায় এস.এ ৭৩১৮ নং দাগের জমির কোন বর্ননা নাই। এস.এ ১২১৫ খতিয়ান পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, এস.এ ৭৩১৮ দাগ উলে¬খ থাকলেও চাচা উক্ত খতিয়ান মুলে উক্ত দাগে যতটুকু অংশের মালিক হন তার চেয়ে অধিক পরিমান জমি নাহিনের নিকট হস্তান্তর করেন তিনি। এছাড়া সরজমিনে এস.এ ১২১৫ নং খতিয়ানে এস.এ ৭৩১৮ দাগে ৩৭ শতক জমির সম অংশে মালিক হন মোঃ আজিজুল হক, একরামুল হক ও আমিনুল হক। সেহেতু চাচা তার নিজ অংশে ১২.৩৩ শতক এবং তার ভাই একরামুল হক মৃত্যুতে পায় ২.২৪২ শতক সহ সর্বমোট ১৪.৫৭৫ শতক । কিন্তু উক্ত দাগে ১৪.৫৭৫ শতক জমি পেলেও চাচা ভাতিজা নাহিনের কাছে ৪১ শতক জমি বিক্রয় করেছেন। যার চাচার মালিকানার চেয়ে ২৬.৪২৫ শতক বেশি জমি। এছাড়া তিনি জমি বিক্রয়ের সময় উক্ত দলিলে যে খারিজ খতিয়ান হোল্ডিং ব্যবহার করেছেন তা চাচার নামে কোন বি.এস খতিয়ান নেই।

নোটিশ সূত্রে আরো জানা যায়, হস্তান্তরিত দলিলে চাচা নিজেই  তার হস্তান্তরিত কোন জমির স্বত্ব গোপন করার কারনে ভবিষ্যতে দলিলের কোন জমি দাগ খতিয়ান সামান্যতম ভুল হলেও নিজ খরচে তিনি নাহিনকে অন্য দলিল রেজিষ্ট্রি করে দিতে বাধ্য থাকবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ