পঞ্চগড়ে আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে সাবেক চেয়ারম্যান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন


মো. কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড়ঃ  

পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন। রোববার সকালে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই দাবি জানান।

তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত স¤্রাট ও পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ মো. মজাহারুল হক প্রধানের সুপারিশ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন। 

 লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘হাড়িভাসা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চারবার নির্বাচন করে দুইবার নির্বাচিত হই। ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করি। কিন্তু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান আলী বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে এবং সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের বিরোধিতার কারণে মাত্র ৯৪ ভোটের ব্যবধানে জামায়াতের প্রার্থীর নিকট হেরে যাই। ওই বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেয়া মনির হোসেন নৌকার মনোনয়ন পেতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। বির্তকিত দলীয় কর্মকান্ডের কারণে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।’  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবন বাজি রেখে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করি। সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে গুলিবিদ্ধ হই। দেশ স্বাধীন হলে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ি। দলের সকল কর্মকান্ডে ও আন্দোলন সংগ্রামে প্রত্যক্ষ জড়িত আছি। দলের সকল কর্মসূচিতে অংশ নেই এবং নেতৃত্ব দেই। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। এবার নৌকা প্রতীক দিলে তিনি জয়ী হবেন। এর ব্যতিক্রম হলে তিনি নির্বাচন করবেন না। তবে আবার জামায়াত বা বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনিই একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা আলিমউদ্দিন ও গমিরউদ্দিন বক্তব্যে বলেন, হাড়িভাসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওসমান আলী ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের কর্মকান্ডে মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। এলাকার সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্ধ। এই দুইজনের বিরোধিতার কারণে গতবার মাত্র ৯৪ ভোটের ব্যবধানে আবুল হোসেন হেরে যান। এবার তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। তানা হলে গত নির্বাচনের মত জামায়াত বা বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হবেন বলে আশঙ্খা প্রকাশ করেন তারা । 

সংবাদ সম্মেলনে খচিমউদ্দিন, সামসুল আলম, সিরাজউদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, নাজির হোসেন, সহ ইউনিয়নের অর্ধশত মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন। তৃতীয় ধাপে পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে আগামী ২৮ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।  ঘোষিত তফশীল ২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল, ৪ নভেম্বর বাছাই, ১১ নভেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ