সেলিম রেজা, নীলফামারীঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার অস্থায়ী স্টোর ডিপার্টমেন্টে অফিস সহকারী শিরিন আক্তার (৩১) একই ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো: আনসার আলী বিয়ের প্রলোভন দেখে একাধিকবার জোড় করে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে আনসার আলী ওই ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ বিছিন্ন করে। ভুক্তভোগী একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নানান প্রকার অযুহাত ও তালবাহানা দেখায়। ভুক্তভোগী তার অযুহাত ও তালবাহানা বুঝতে পেরে আইনের আশ্রয় নিলেও আইন সহায়তা না পেয়ে মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরের দিকে নীলফামারী প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী ও ভুক্তভোগীর পিতা নুরুল হোসেন খান সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলে ভুক্তভোগী বলেন ফেসবুকে আনসার আলীর সাথে তার পরিচয়, সেই পরিচয় আনসার আলী বলে তিনি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডেপুটি- ম্যানেজার।
ভুক্তভোগীর অস্থায়ী চাকুরি স্থায়ী করণ করার জন্য রাজশাহীতে সরাসরি দেখা করার কথা বলেন। এতে শিরীন দেখা করতে যান সেখানে হঠাৎ করে অসুস্থ হলে তিনি দেখা সেই সুযোগে আনসার আলীর জুসের সঙ্গে চেতনা নাশক পান করালে ভুক্তভোগী আর কিছু বলতে পারেন না। কর্মকর্তা অচেতন অবস্থায় ধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন।
সেইসব আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ভুক্তভোগী কে ব্ল্যাকমেইল করে। পরে চট্টগ্রামে বিয়ে করবে বলে তিনি ও তার বন্ধু মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট কেটে দেন। কর্মকতাকে বিশ্বাস করে ২৩.০১.২৫ ইং তারিখে চট্টগ্রাম যায়। সেখানে পৌঁছে কল করেন আনসার আলীকে তিনি রিসিভ করে একটি আবাসিক হোটেলে উঠেন। হোটেলের ম্যানেজারকে ম্যানেজ করে একাধিক বার ধর্ষণ করে । পরে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আবার ও ট্রেনে তুলে দেয় ঐ নারীকে।
তারই প্রেক্ষিতে গত ০৩-০৩-২০২৫ তারিখে সৈয়দপুর থানায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দীর্ঘদিন হলেও আসামী আনসার আলী আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিরিন আক্তার রেল উপদেষ্টার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ তদন্ত জন্য একটি কমিটি গঠন করে সেটা প্রমাণিত হলে সামায়িক ভাবে বরখাস্ত করেন। তিন মাস পার হলেও প্রভাবশালী কর্মকতাকে আটক করেনি পুলিশ। আসামী আনসার আলীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন ভুক্তভোগী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদকর্মীরা। এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফইম উদ্দিন জানান, ভুক্তভোগী শিরীন আক্তার একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যার মামলা নম্বর ০৩। ভুক্তভোগী কে মেডিকেল করা হয়েছে। এখন ও রিপোর্টে পায়নি আমরা আসামি ধরতে চেষ্টা করছি।
0 মন্তব্যসমূহ