পঞ্চগড়ে চিনি,তেল, ডাল, মুরগী সহ নিত্যপন্যোর দাম হু হু করে বাড়ছে


মোঃ কামরুল ইসলাম কামু,পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
 

নিত্যপণ্যের বাজার এখন অস্থির। এক লাফে মুরগীতে বেড়েছে ৩০ টাকা থেকে ৮০ টাকা। বেড়েছে গোসল করার সাবানের দামও। সাথে পাউডার জাতীয় গুড়া প্যাকেটজাত হুইল ,রিন সহ নানা ব্র্যান্ডের এসব পন্যের দাম। কমেনি ডাল ও চিনির দাম। বাড়তি সবজির দাম। বাজারে গিয়ে দিশেহারা সাধারন মানুষ। খরচে কাঁটছাট করেও ব্যয় কমাতে পারছেনা ক্রেতা-সাধারন।দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দৌরাতে্ব হতাশ সব শ্রেণীর মানুষ।

ক’দিন ধরে কারন ছাড়াই বাজারদর উর্দ্ধমূখী। রিকসা চালক রমজান বলেন ‘  ভাই সবজিও তো কিনতে গিয়ে মাথা খারাপ। এক কেজি বরবটি ৬০ টাকা ‘ আমরা কি করে বাঁচবো। খুচরা চাল ব্যবসায়ী আজিজুল বলেন কই চালের দাম কমে। বাড়তেই আছে। অটো চালক হাসিবুল বলেন ‘ মহাজনকে দিয়ে থুয়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় হয়। তবে বাজারে গেলে সেই টাকা আর থাকে কই। লবন তেল,চিনি ডাল সব কিছুর দাম তো বেশী। মনে হয় প্রতিদিন বাড়বে ‘ আর আমরা গিয়ে কিনবো।

কয়েকজন মুরগী ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে ‘ তারা বলেন কয়েকবদিন ধরে সোনালী মুরগীর দাম বাড়তি। আমরা এখন সোনালী মুরগী বিক্রি করছি প্রতি কেজি ২৬০ টাকা। বয়লার ১৪০ টাকা। অথচ এই বয়লার সপ্তাহ খানেক আগে ছিলো ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি। বযলার ছিলো ১১০ টাকা। দেশী মুরগীর দামও চড়া। প্রতি কেজি এখন ৪০০ টাকা।

গালামাল ব্যবসায়ী মিলন বলেন ‘চিনি প্রতি কেজি কেনা পড়ে ৭৭ টাকা। পাইকারি চিনি ৫০ কেজির বস্তা কিনতে হচ্ছে ৩৮৫০ টাকা। আমরা খুরচা বিক্রি করছি প্রতি কেজি ৮০ টাকা। কেউ কেউ ৮৫ টাকাও বিক্রি করছেন। পাইকারী মোটা মসুর ডাল কেনা পড়ে ৮৭ টাকা ৮৮ পয়সা।৫০ কেজির বস্তা কিনে হচ্ছে ৪৩৫০ টাকা। আমরা বিক্রি করছি ৯০ টাকা থেকে ৯৫ টাকা। চিকন মুসুর ডালের দাম তো আগে থেকেই বেশী। খুচরা প্রতি কেজি চিকন মসুর ডাল ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা।এখন একটি লাক্্র সাবান কেনা পড়ছে ৪০ টাকা। আগে ছিলো ৩৬ টাকা। এখন বিক্রি করছি ৪০ টাকা।হুইল লেমন হাফ কেজি কেনা পড়ছে ৪৪ টাকা ৫০ পয়সা। রিন পাউডার এখন হাফ কেজি ৬০ টাকা। আগে ছিলো বিক্রি করেছি ৫০ টাকা।

এদিকে চালের বাজারে কোন সু খবর আপাতত: নেই। ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকার নীচে চাল নেই। আঠাইশ একনো ৫০ টাকা প্রতি কেজি। স্বর্ণপারি ৪৮ টাকা।খোলা আটা ৩২ টাকা। খোলা সোয়াবিন ১৩০ টাকা প্রতি লিটার। প্যাকেটজাত ছিলো প্রতি লিটার ১৫০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা। গালামাল ব্যবসায়ী মিলন বলেন ‘প্যাকেটজাত সোয়াবিন কেনা পড়ছে প্রতি লিটার ১৫২ টাকা। তিনি আরো বলেন ‘ পাঁচ লিটার সোয়াবিন তেলের কেনা দাম ৭০০ টাকার উপড়ে।

এদিকে বাজারে দেশী মাছের তেদমন একটা সরবরাহ নেই। যদিও সামান্য পাওয়া যায় দাম আকাশ ছোঁয়া। টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা প্রতি কেজি। একবারে ছোট দেশী চিংড়ি প্রতি কেজি ১০০০ টাকা। মওয়া মাছ ৪০০ টাকা কেজি। বেড়েছে সবজির দামও । ৩০ টাকা কেজির বরবটি ৬০ টাকা। ১৫ টাকা কেজির লাল শাক ৫০ টাকা। ২০ টাকা কেজির পটল ৪০ টাকা। নতুন মূলা ৬০ টাকা। ঢেঁঁড়ষ ৪০ টাকা প্রতি কেজি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ