পঞ্চগড়ে বাড়ছে জমি সংক্রান্ত মামলা মোকদ্দমার চাপ বাড়ছে‘ প্রান হারাচ্ছে মানুষ


মোঃ কামরুল ইসলাম কামু,পঞ্চগড়ঃ 

পঞ্চগড়ে জমা-জমি সংক্রান্তের জেরে প্রতিনিয়ত বিরোধ- শালিস বাড়ছেই।  বাড়ছে প্রাণহানীর মতো ঘটনাও। থানা থেকে  আদালত পর্যন্ত গড়াচ্ছে এ সব মামলা মোকদ্দমা। ফলে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উভয়পক্ষ। কেউ কেউ স্থানিয় ভাবে তার সুরাহা না পেয়ে সরকারের উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ প্রেরণ করছেন।

পঞ্চগড়ের প্রতিটি উপজেলায় রয়েছে ‘ এমন জমি সংক্রান্ত নানা অভিযোগ। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায় ‘ ছোটো -খাটো জমির বিরোধ স্থানীয় শালিসে সমাধান করা হলেও অধিকাংশ বিরোধপূর্ণ বিষয় থানা -আদালতে গড়ায়। পঞ্চগড় শহরের মেডিসিন ব্যবসায়ী আকতরুজ্জামান আকতার বলেন ‘তার বাবা মরহুম ডা. শাজাহান আলী তার জীবদ্দশায় সরকারের কাছে জমি লীজ নেয়‘ সেই জমিতে আমি ব্যবসা করে আসছি। অথচ তার নিকট ঘনিষ্ট লোকজন সেই ‘ জমি দাবি করছে‘ তাই আমি প্রথমে থানায় লিখিত দেই ‘ পরে কোর্টে মামলা করি। বিবাদীরা বলছে ‘ বাবা নাকি তাদের কাছে এই সম্পত্তিটি বিক্রি করেছে। আমি এ বিষয়ে আমার ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছি।

এদিকে বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দীন (আলাল) বলেন ‘  মাঝে মাঝে ২/৪ টা অভিযোগ আসে। এসব পরিষদে বসে সমাধান করা হয়। কখনো কখনো থানা পুলিশ পরিষদে এসে বিরোধপূর্ন জমির দু’পক্ষকে ডেকে সমাধান করে দেওয়া হয়। আর যে সব আইনের বিষয়ে জটিলতা দেখা যায় ‘ সে সব  বিষয় উভয়পক্ষ থানায় যায় অথবা আদালতের দ্বারস্থ হন।  ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দীন (আলাল) বলেন ‘ তার ইউনিয়নে বছরে না হলেও ৭০/৮০ টি মামলা-মোদদ্দমা হয়। দেবীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন ‘জমি সংক্রান্ত বিচার সালিশ হয় ‘ তবে আমার পরিষদে কম আসে ‘ আসলেও মেম্বারদের দিয়ে দেই তারাই ‘ গন্যমান্যদের নিয়ে মিমাংসা করে দেয়। অনেক সময় মারপিটের বিষয় থাকে সে কারনে ওই সব জমির বিষয়াদি থানায় যায়।

এ বিষয়ে আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইজার উদ্দীন বলেন ‘ জমি সংক্রান্ত অভিযোগ তো কম বেশি আসেই ‘ বেশির ভাগ সমাধানও হয়ে যায়। আর আদঅলতরে মামলা তো আছেই।করোাকালিন সময়ে পঞ্চগড় জেলা জুড়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রায় ৮/১০ টি হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তেতুঁলিয়ার খাদ্য গুদামের নৈশ্য প্রহরী চাঁন মিয়া ‘ জমি সংক্রান্ত জেরে খুন হয়। তার ছেলে এ ঘটনায় মামলাও করেন। তিনি তার বাবার খুনের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ওই সময় পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। জমি সংক্রান্ত অভিযোগ স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে আসে অহরহ। আসে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবেও।

পঞ্চগড় জেলা  আইনজীবী সমিতির  সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জুলফিকার আলী নয়ন  ‘ বলেন  এখন তো জমি নিয়েই মামলা বেশি। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা অনেকটাই কমে গেছে পঞ্চগড়ে। এখন জমির মামলা বেশী হচ্ছে। তিনি বলেন‘ করোনাকালিন সময়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে তেতুঁলিয়া, দেবীগঞ্জ ও বোদায় প্রায় ৮টি হত্যাকান্ড হয়েছে। আমার কাছে এ ধরনের বেশ কয়েকটি মামলা আছে।

এব্যাপারে পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন ‘ জমি সংক্রান্ত এখন একটু বেশী দেখা যাচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ