আক্তার কামাল সোহেলঃ পেটে খাবার না থাকলে, লকডাউন মেনে আর মাস্ক পরে কী করব? আমি রিকশা চালাতে না পারলে আমার পরিবারের সবাই না খেয়ে মারা যাবে। এ দায় কে নেবে? এর থেকে ভালো করোনা হয়ে মারা গেলে। অন্তত না খাওয়ার কষ্ট থেকে মুক্তি পাবো।
কথাগুলো বলছিলেন লকডাউন উপেক্ষা করে কক্সবাজার শহরে রিকশা নিয়ে বের হওয়া মোহাম্মদ ফরহাদ। সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউনের আজ ছিল তৃতীয় দিন। অনেকটা ঢিলেঢালাভাবেই দিনগুলো অতিবাহিত হয়েছে কক্সবাজারে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সকালের দিকে যানবাহন চলাচল সীমিত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। অবাধে চলতে দেখা গেছে রিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, মিনি ট্রাক ইত্যাদি। এদিকে ফার্মেসি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া সব দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও শহরের অলিগলিতে প্রাচীন চায়ের দোকানসহ প্রায় সব দোকানই খোলা থাকতে দেখা গেছে।
রাস্তায় বের হওয়া সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পথচারী মাসুদ বলেন, ঘরের বাজার শেষ তাই বাজার আনতে যাচ্ছি। গাড়ি পাচ্ছি না তাই হেঁটেই যাচ্ছি। কিছু রিকশা থাকলেও পাঁচগুণ বেশি ভাড়া চাইছে। এভাবে চলতে থাকলে দুর্ভিক্ষ শুরু হতে সময় লাগবে না।
আর এক পথচারী নাহিদা আক্তার নাহি বলেন,আমি হাসপাতালে চাকরি করি হাসপাতাল খোলা থাকায় অফিসে যেতে হয়,পরিবহন না থাকায় অনেকে পায়ে হেঁটে আবার অনেকে রিকশা বা সিএনজি যোগে বাড়ি অথবা কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, লকডাউন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে সকাল থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছেন। ব্যতিক্রম কিছু দেখা গেলে জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে। এছাড়া লকডাউন বাস্তবায়নে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ