কক্সবাজারে এল ডব্লিউ স্পা যেন একটি মিনি পতিতালয় নীরব ভুমিকায় প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক কক্সবাজারের পর্যটন শহরের হোটেল মোটেল জোন কলাতলীর স্পা সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। যেখানে স্পার আড়ালে পতিতাবৃত্তি, পর্যটকদের ব্ল্যাকমেইলিং এবং অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযান না থাকায় এই অপরাধ থামানো যাচ্ছে না। বিভিন্ন সূত্রের তথ্য মতে, কক্সবাজারে ৩০টি স্পা সেন্টার রয়েছে, তার মধ্যে কলাতলী সড়কের সি ব্লক ৯ নাম্বার প্লটে ভ্যালী ওশান হোটেলের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত আল আমিনের নামে রযেছে একটি স্পা সেন্টার। এই এল ডব্লিউ নামে স্পা সেন্টার যেন একটি মিনি পতিতলায়। এই স্পাটি নানা অপরাধের কারখানা। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সালমান খুরশিদ জানান, স্পা সেন্টারে সেবা নিতে গিয়ে পড়তে হয়েছে চরম বিপত্তিতে প্রথম ৩ হাজার প্রদান করে ভেতরে ঢুকে জানতে পারলেন ৩ থেকে ৫ হাজার দিলে প্যাকেজে সব মিলে এল ডব্লিউ স্পা সেন্টারে, থেরাপির নামে এখানে হচ্ছে পুরোপুরি পতিতাবৃত্তি। তাদের কাছে নেই কোন প্রশিক্ষপ্রাপ্ত থেরাপিস্ট, সেখানে থাকা মহিলা কর্মীরা কোন কাজ তোই জানে না কোন কিছু বুঝে উঠার আগে দাবি করে বসে টাকার বিনিময়ে অনৈতিক প্রস্তাব। জানাগেছে, এল ডব্লিউ স্পা সেন্টারে পৌরসভার যে ট্রেডলাইসেন্স সেটিও নেই তাদেরকে কাছে কোন ধরনের বৈধ কাগজ পত্র নেই। এমনিতে এইসব বেঙ্গের ছাতার মতো গর্জে ওঠা স্পা সেন্টার সরকারিভাবে অনুমোদন দেওয়ার নিয়ম নেই। পর্যটন শহরের দোহায় দিয়ে চরম বেপরোয়া গতিতে পতিতাবৃত্তি হচ্ছে এইসব স্পা সেন্টারে তার মধ্যে এল ডব্লিউর অবস্থা খুব বাজে এমনটি দাবি করেছেন বিভিন্ন সূত্রে। ৫ আগস্টের পরে এইসব স্পা সেন্টার গুলো প্রশাসনের নিরবতার সুযোগ নিচ্ছে তারা। রহস্যজনক ভূমিকার রয়েছে খোদ পুলিশ প্রশাসনও। এল ডব্লিউ সেন্টারের মালিক আল আমিন নায়নগঞ্জের বাসিন্দা, সেখানে সেই ছিল একজন রিকশা চালক, মাত্র কয়েক বছর আগে কাজের সুবাদে ফাঁড়িজামান কক্সবাজারে, এখানে এসে নানা কায়দাকৌশলে হোটেল লেগুনা বীচে খুলে বসেন একটি স্পা সেন্টার। স্পার নামে বেপরোয়া অনৈতিকতায় জড়িত থাকায় মালিক চুক্তি বাতিল করে তাকে তাড়িয়ে দেন। পরে লাইট হাউস এলাকায় রিম গেস্ট হাউসে খুলে বসেন আরেকটি স্পা সেন্টার। সেখানে নানা অনৈতিকতার কারণে স্থানীয়দের তুপের মুখে সেই স্পাও বন্ধ করে দিতে হয়েছে তাকে। এরপর স্পা ভাড়া নেন হোটেল মিল্কতে সেখানেও বেশি দিন ঠিকেনি এই আল আমিন। অপরাধ একটাই স্পার নামে চলে বেপরোয়া পতিতাবৃত্তি। বর্তমানে স্পা ভাড়া নেন ওশান ভ্যালী হোটেলে, এখানে এসেও শুরু করে দেন স্পার নামে পতিতাবৃত্তি। এছাড়াও আল আমিনের বিরুদ্ধে স্পা,র মেয়েদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ানা, টাকা খোঁজলে টাকা না দিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাইকমেলিং করে মা'রধর করে এমন অভিযোগের ভুক্তভোগীর ভিডিও বক্তব্য প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। আল আমিন প্রায় সময় স্পা কর্মীদের সাথে অনৈতিক কমর্কান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে। এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে তার স্ত্রীর তাকে রেখে চলে গেছে এমন খবর রয়েছে। এই বিষয়ে আল আমিনের সাথে কথা বললে উত্তেজিত হয়ে বলে আল আমিন, প্রশাসনকে মাসিক টাকা দিয়ে স্পা চালায় আপনাদের মন চাইলে একটি নিউজ করেদেন, আমার কেউ কিছু করতে পারবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ