রাজারহাটের ডাংরার তিস্তার চরে সূর্যমূখীর বাম্পার ফলন


রাশেদ স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রামঃ
 

রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তার পেটে ভেসে উঠা চরে এক কৃষক ৩০ শতক জমিতে সূর্যমূখী ফুলের চাষ করেন।কৃষক লাভলু মিয়া জানান,উপজেলা কৃষি অফিস থেকে  সূর্যমূখী ফুলের চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলার জন্য বিস্তৃর্ণ তিস্তার চরে পরিক্ষামূলক ৩০শতক জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করি।

প্রথমে ভেবেছিলাম চরাঞ্চলে বুঝি সূর্যমূখীর চাষ করে সফল হওয়া যাবে না। কিন্তু এখন ফসলের ক্ষেত দেখে মনটা ভরে গেছে।আগামীতে বৃহৎ আকারে প্রজেক্ট করে সূর্যমূখীর চাষ করবো এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করবো।কৃষক লাভলু মিয়া আরও জানান,এই সূর্যমূখীর ফল থেকে সয়াবিন তেল পাওয়া যায়।ঘানিতে মেরে বা মেশিনের মাধ্যমে সয়াবিন তেল উৎপাদন করা হয়।

৩০শতক জমিতে যে পরিমান সূর্যমূখীর ফল থেকে যে তেল পাওয়া যাবে তা নিজের চাহিদা পূরন করেও অবশিষ্ট পরিমান বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। সূর্যমূখীর শুকনো গাছ জ্বালানির জন্য ব্যবহার করা যাবে।তবে উপজেলা কৃষি অফিস যদি সূর্যমুখী চাষবাদে কৃষকদের সরকারী সহায়তা প্রদান করে সেক্ষেত্রে সয়াবিন তেলের একটি বৈপ্লবিক উৎপাদন ভান্ডার এই তিস্তার চর হতে পারে যা জাতীয় অর্থনীতিতেও অনবদ্য ভূমিকা রাখবে।

এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা কৃষি অফিসার সম্পা আক্তার বলেন আগামীতে তিস্তার চরে ব্যাপক হারে সূর্যমূখীর চাষাবাদে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ