পঞ্চগড়ে নদী খনন চলছে ঢিমেতালে; আসল ঠিকাদার উধাও


মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ

জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে দেশের বায়ূ দুষণসহ পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। দেশের অভ্যন্তরে বহমান নদী গুলোর নব্যতা আজ হারিয়ে গেছে। নদী-মাতৃক দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ আজ নদীবিহীন রুপে পরিগণিত হওয়ার পথে। সেই পথ ধরে পঞ্চগড়ের উপড় দিয়ে বয়ে যাওয়া একমাত্র বড় নদী করতোয়া নদীর নব্যতা আজ হারিয়ে গেছে প্রায়। পরিবেশবাদিদের দাবী নদী রক্ষা ‘আর মিডিয়ায় এসব সংবাদ প্রকাশ হয়ে আসছে দীর্ঘ সময় ধরে।

নদী রক্ষা ও তার নব্যতা ফেরাতে সরকার ইতোমধ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছর পঞ্চগড়ে চাওয়াই ও বুড়ি তিস্তা খনন করা হয়। পানি উন্নয়ন এই প্রকল্পের নাম দিয়েছে নদী পূন:খনন। এদিকে এ বছর পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় সদর উপজেলার মীরগড় থেকে দিনাজপুরের খানসামা পর্যন্ত করতোয়া নদীর ৭৮ কিলোমিটার এলাকা খনন করার কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে করোনার কারনে মাঝ পথে কাজ বন্ধ রাখা হয়।

পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোছান্না গালিব জানান ‘১০ টি প্যাকেজের আওতায় প্রায় ১০০ শত কোটি টাকার উপড়ে এই প্রকল্প । করোনার পরে এটি বর্ধিত করণ করে আবার কাজ শুরু হয়েছে। ‘তিনি  বলেন নদী খননের গভীরতা সাড়ে ৪ ফিট। তবে চওড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম ।

এদিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ‘ নদী খননে নিয়োজিত ঠিকাদাররা উধাও। স্থানীয় কিছু দালাল প্রকৃতির মানুষ প্রভাব বিস্তার করে এ সব খনন কাজ করছে। বোদা উপজেলার ফুলতলা এলাকায় নদী খননে নিয়োজিত ঠিাকাদারের কোন লোক নেই।এই কাজটি পেয়েছেন একজন ঠিাকাদার তার বাড়ি রংপুর। তবে কাজটি করছেন সাব ঠিকাদার বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একাধিক সূত্র জানায়। ‘ ফুলতলার ওই কাজের সাথে জড়িত বলে দাবিদার রিপন নামে এক ব্যক্তি বলেন ‘ আমরা কর্মচারী। কতো কিলোমিটার কাজ ‘কতো টাকার কাজ সে ব্যাপারে আমরা জানি না’। তবে অভিযোগ রয়েছে ‘ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের লোকজন বালু বিক্রি বা পাথর বিক্রি হবে‘ সে ব্যাপারে তারা পারদর্শী’। তারা এসব নিয়ে স্থানিয় একটি চক্রের সাথে জড়িত। ‘ তারা নদী খননে মনযোগী কম। ‘এর আগে বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ বোয়ালমারিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। ‘ এই নদী খনন কাজের সাইডে কোন সাইনবোর্ড ব্যবহার করা হচ্ছেনা।

পঞ্চগড় শহরের পাশে পুরাতন পঞ্চগড় এলাকার করতোয়া নদীতে নদী খননে ড্রেজার ব্যবহার করে বালু তুললেও কাজে কোনো সঙ্গতি নেই’। কখনো মেশিন চলে তো কখনো বন্ধ। কখনো এস্কেবেটার।  কে ঠিকাদর আর কে ‘ লেবার বা শ্রমিক বোঝা কঠিন এবং খুঁেজ পাওয়াও কঠিন।‘ সাজোয়া পরিপূর্ণ ভাবে কাজে কোনো গতি নেই। চলছে ঢিমেতালে। এছাড়া কোন এলাকা মহাল হিসেবে ইজারা কৃত আর কোনটি ঠিকাদারের খনন কাজ। কোন বালু কে নিচ্ছে ‘ কোথায় কে পাথর নিচ্ছে তাও বলা দুষ্কর। খননে নেই কোন স্বচ্ছতা ‘ নিয়মনীতি এবং সঠিক নজরদারি।এই নদী খনন কাজ নিয়ে মানুষের মাঝে নানা প্রশ্ন ও অসন্তোষ রয়েছে। অনেকে বলেছেন ‘ বালু তোলার নিয়মটি যেনো অনিয়মে পরিণত। এটিকে আরো সহজ ও নিয়মনীতির মধ্যে আনা প্রয়োজন। ‘একজন উপ-সহকারি প্রকৌশলী নাম না জানার শতের্  বলেন ‘ কে যে ঠিকাদার অমি নিজেই জানিনা।’ 

এ বিষয়ে পঞ্চগড় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রবিউল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন ‘ আসলে আমি ঠাকুরগাঁওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ‘পঞ্চগড়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি’। কাজের বিষয়ে তিনি বলেন ‘ আমরা চেষ্টা করছি । সে জন্য আমরা চিঠিপত্র তৈরি করছি। গার্জিয়ান না থাকলে যা হয় আর কি’। পরিকল্পনাহীন ভাবে কাজ হচ্ছে স্বীকার করে বলেন‘ আমি ২/৪ দিন সাইড দেখতে গিয়েছিলাম। নতুন নির্বাহী প্রকৌশলী পোস্টিং দ্যেয়া হয়েছে ‘ সামনের সপ্তাহে যোগদান করবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ