মো. কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড়ঃ
পৌরসভা নির্বাচনে কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামীদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন পঞ্চগড় পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর হাসনাত মো. হামিদুর রহমান। গত বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর হাসনাত মো. হামিদুর রহমান, মকলেছুর রহমান, আবুল খায়ের, মো. ফজর আলী, মোজাম্মেল হক, কাজী মো. জাহেদুল হক, নিজামউদ্দিন পাটোয়ারী, মো. হোসেন আলী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পৌরসভা নির্বাচনে তুলারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে ৫নং ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলামের নির্দেশে তার কর্মী সমর্থক জাহাঙ্গীর, খাদেমুল, ইয়াছিন, মোস্তাকিম, মোমিনুল, রমজান, সওদাগরসহ একদল দুবৃত্ত দেশীয় লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে একই ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর হাসনাত মো. হামিদুর রহমানের ছোট ভাই মো. শিশির (২৭), মো. আবিদ (১৫), সিদ্দিকুর, মো. মুকুল, মো. ফরহাদসহ ১৭ জন কর্মী সমর্থককে বেধড়ক মারপিট করে।
এ ঘটনায় আহতদের তাৎক্ষনিক পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ৭জনের অবস্থা গুরুতর। আশঙ্কাজনক হওয়ায় শিশির, আবিদ ও মুকুলকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) নবনির্বাচিত কাউন্সিলর হাসনাত মো. হামিদুর রহমানের বাবা মকলেছার রহমান বাদি হয়ে ৪৩ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা একশ জনকে আসামী করে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর হাসনাত হামিদুর রহমান জানান, আমরা নিজেরা আইন হাতে তুলে নেইনি। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার কর্মী সমর্থকদের নৃশংসভাবে হামলা করা হয়েছে। আমরা মামলা দায়ের করেছি। আমরা আশা করি প্রশাসন আসামীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনবে। পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জামাল হোসেন জানান, নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
0 মন্তব্যসমূহ