সকাল গড়িয়ে রাত,কুড়িগ্রামে বৃষ্টির মতো টিপ টিপ করে পড়ছে শীত


নয়ন দাস, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা,দেখা মিলছে না সূর্যের গত দুই দিনেও দেখা মিলেনি সূর্যের । বিপাকে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবিরা । দিনের বেলায় সূর্যের আলো না থাকার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন । লোকজন খড়কুটো জ্বালিয়ে চেস্টা করছে শীত নিবারণের । 

জেলার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের তথ্যানুযায়ী কুড়িগ্রামে বুধবার(২৭ জানুয়ারী) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ,যা চলতি সপ্তাহে সব থেকে কম রেকর্ড । বেলা গড়িয়ে সন্ধা নামার সাথে সাথে বৃষ্টির মতো করে পড়ছে কুয়াশা লোকজন খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যার পরে একেবারেই বের হচ্ছেন না বাড়ির বাইরে  দ্রুতই বন্ধ করে দিচ্ছেন দোকান-পাট,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারী) সন্ধা ৭টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত জেলা সদরের ঘোষপাড়া,হাসপাতাল মোড়,কলেজ মোড়,জজকোট চত্বর,কালিবাড়ী,শাপলা চত্বরে মেলে এমন দৃশ্য । সন্ধ্যার পর রাস্তায়  লোকজন না থাকার কারণে সব থেকে বিপাকে পড়েছেন ভ্রাম্যমানের স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা । 

রিক্সা চালক শামসুল মিয়া (৪৫) থাকেন জেলা সদরের টেক্সটাইল মোড়ে, তিনি বলেন,"মোর এইটা ভাড়ার রিক্সা, সারা দিনে ৩০০ টাকা দেওয়া নাগে (দিতে হয়) মাহাজনক (মহাজন) সন্ধ্যার পর থাকি এল্যা (এখন)  ৬০ টাকা কামাই করছং (আয় করেছি) ঘোষপাড়ার ভ্রাম্যমান ভাবে ডিম সিদ্ধ বিক্রি করে স্বল্প আয় করেন জসিম ইসলাম(২৮) তিনি জানান,"সন্ধার পর আমার দোকানে মোটামুটি বেচা-কেনা হয়, গতকাল থাকি সন্ধার পরে মানুষ জন না থাকার কারণে বেচা-কেনা তেমন নেই ।

এদিকে ঘন কুয়াশা আর মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে কুড়িগ্রামে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ বাড়ছে শীতজনিত নানা রোগীর সংখ্যা ।  কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২৫ জন ডায়রিয়া ও ৬ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে গত ১৫ দিন ধরে রোগীর সংখ্যা একটু বেশি বলে জানান তিনি।

জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার হাবিবুর রহমান জানান, "চলতি সপ্তাহে হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে শিশু বিভাগে ১০-১৫ জন শিশু ভর্তি হচ্ছেন আর ডায়রিয়া বিভাগে ২০- ২৫ জন , যারা সবাই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত এছাড়াও প্রতিদিন গড়ে ৮০০ মতো রোগী বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন শীত জনিত রোগের । অন্যান্য জেলার চেয়ে কুড়িগ্রামে শীতের প্রকোপ একটু বেশি ।  এবারের করোনার প্রোকোপের পাশাপাশি সর্দি ,কাশি নিয়ে হাসপাতাল গুলোতে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন ।তবে আসাদের স্বাস্থ্য বিভাগও চিকিৎসার ব্যাপারে যথেষ্ঠ তৎপর রয়েছে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ