বাবা’র কবরের পাশে শায়িত হলেন সাংবাদিক হিলালী ওয়াদুদ


রতন কুমার রায়-স্টাফ রিপোর্টারঃ 

ঢাকা সাব-এডিটর কাউন্সিল (ডিএসইসি) নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী ও দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সিনিয়র সাব-এডিটর হিলালী ওয়াদুদ চৌধুরী’র (৪৯) নীলফামারীর ডোমারে জিএমসি মাঠে ৪র্থ জানাজা নামাজ শেষে মরহুম পিতার আদি নিবাস পার্শবর্তী জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল হাজীপাড়া গ্রামে ৫ম জানাজা শেষে পারিবারীক কবরস্থানে বাবা সাংবাদিক মরহুম ওবায়দুল মোকাদ্দেছ চৌধুরীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।

শনিবার (১৬ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯টায় ডোমার জিএমসি মাঠে মরহুমের লাশ আনা হলে প্রেসক্লাব ডোমার, ডোমার রিপোর্টার্স ক্লাব, ভোরের কাগজ ডোমার প্রতিনিধি ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জানাজায় শরীক হোন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি খায়রুল আলম বাবুল, উপজেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন, পৌর বিএনপি সভাপতি আনিছুর রহমান আনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, প্রেসক্লাব সভাপতি মোজাফ্ফর আলী,  রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি রতন কুমার রায়, সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন হিটলার, দৈনিক ভোরের কাগজ ডোমার প্রতিনিধি জাবেদুল ইসলাম সানবীম, সমকাল প্রতিনিধি রওশন রশীদ, খোলা কাগজ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন সোহাগ প্রমূখসহ মুসল্লিরা। 

নামাজে জানাজার ইমামতি করেন থানা পাড়া জামে মসজিদের ঈমাম মাওলানা খায়রুল আলম। পরে পিতৃনিবাস পার্শবর্তী জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল হাজীপাড়া গ্রামে পঞ্চম নামাজে জানাজা শেষে সকাল সাড়ে ১১টায় পারিবারিক কবর স্থানে বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।

সাংবাদিক হিলালী ওয়াদুদ চৌধুরী ডোমার থানাপাড়া এলাকার সাংবাদিক মরহুম ওবায়দুল মোকাদ্দেছ চৌধুরীর তিন ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রথম সন্তান। তার শৈশব ও কিশোর  কেটেছে ডোমারে। তিনি ১৯৮৮ সালে ডোমার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৯০সালে ডোমার সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৯৪ সালে দৈনিক রুপালীতে (মফস্বল সম্পাদক) হিসেবে দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে দৈনিক ভোরের কাগজে যোগদান করেন। সেখানে তিনি সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। 

পরিবাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাধারন সভায় যোগ দিতে হিলালী ওয়াদুদ চৌধুরী বাসা থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় তাকে দ্রুত মালিবাগের খিদমাহ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ