ব্রিজ তো নয়, এ যেন মরণ ফাঁদ


রাশেদ কুড়িগ্রামঃ 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নে, রাজমাল্লীরহাট ঘুমারুঘুমশীতলা ফকিরপাড়া চুকচুকার ব্রিজটির উপর দিয়ে নতুনবাজার, বটতলা, নওদাবস, পান্ডুল, এবং নাজিম খাঁন বাজার যেতে হয়।

কিন্তু রাজমাল্লীরহাট চুকচুকার ব্রিজের বেহাল দশার কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামে চুকচুকার ব্রিজটি দীর্ঘ ১ বছর যাবত জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। ব্রিজের উপর সিমেন্টের তৈরি পাটা ধসে যাওয়ায় এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

বিধ্বস্ত এই ব্রিজটির একদম বিকলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে; যা চলাচলের একদম অযোগ্য। এলাকার ছাত্র-ছাত্রী সহ জন সাধারণ মানুষের দুর্ভোগে রয়েছে। সরেজমিন জানা যায়, ব্রিজের একসাইটে মাঝস্তরে ভেঙে যাওয়াসহ উপরের সিমেন্টের তৈরি পাটাতন ধসে যাওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে চলাচলের একমাত্র যানবাহন মোটরবাইক, রিকশা ভ্যান, অটোরিকসা, নসিমন - করিমন এবং পিকাবভ্যান সহ অন্য অন্য গাড়ি গুলো  অনেক সময় ঝুঁকি নিয়েই মোটরসাইকেল পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন চালকরা।

ব্রিজটির বেহাল দশা প্রায় এক বছর যাবত। এক বছর আগে ব্রিজের উপরের পাটা ধসে পড়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো তৎপরতা না থাকায় স্থানীয় মোজাফফর হোসেন(৩৮) তার নিজ অর্থায়নে বাশের চরাট দিয়ে সাময়িকভাবে মেরামত করে দেন। কিন্তু যোগাযোগের তাগিদে প্রতিনিয়ত ব্রিজ দিয়ে মোটরবাইক, রিকশা, ভ্যান, সেই সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের কারণে এখন বাশের চরাট ভেঙে গেছে।

শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে ব্রিজটির অবস্থা খুবই করুণ। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন পথচারীসহ শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় বাসিন্দা আইয়ুব আলি(৪২) বলেন, অনেক দিন আগে নির্মিত এই সেতুটি ভালোই ছিলো কিন্তু এক বছর হয়েছে ব্রিজ মাঝস্তর ধসে পরেছে, এখন পযন্ত দেখার কেউ নাই এবং ব্রিজটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের কোনো মাথা ব্যথাই নেই। মাঝে মধ্যে শুনি টেন্ডার হয়েছে, তবে মেরামত কবে হবে জানা নেই।

১নং ইউপি সদস্য জনাব মোঃ আব্দুর রশিদ বলেন, ব্রিজ যখন ধসে পরেছে তখন আমি টি আই ও অফিসে জানাই তারা আমাকে শুধু আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কাজ করে নাই। পরে উমর মজিদ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত কযেক মাস আগে টি আই ও অফিসে বিষয়টা জানানো হয়েছে, অফিস কতৃপক্ষ বলেছেন, আমরা যতো দূরর্ত্ব পারি ব্রিজের মেরামতের জন্য চেস্ট করবো, কিন্তু আজকে বিগত কয়েক মাস পেরিয়ে গেছে, ব্রিজটির কোন মেরামত হচ্ছে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ