পঞ্চগড় তেতুঁলিয়ায় সর্ব নিম্মতাপমাত্রা ৯ দশমিক শূণ্য ডিগ্রী


পঞ্চগড় থেকে কামরুল ইসলাম কামুঃ

পঞ্চগড়ে ঘনকুয়াশার সাথে উত্তরের বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরের দিকে রোদের দেখা মিললেও শীতের দাপট কমেনি। শহরের রাস্তা-ঘাটে খঁড়কুটো জালিয়ে অনেককে শীত নিবারণের চেষ্টায় দেখা গেছে। শীতের সাথে সাথে দোকানপাটে শীত বস্ত্রের বিক্রিও বেড়ে গেছে। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের এসব কাপড়ের দোকানে ভীড় দেখা গেছে। গরম কাপড়ের দোকান মালিকরা বলছে বিক্রি বেড়েছে। সুয়েটার জেকেটে সহ নানা রকম গরম কাপড়ের কদর বেড়েছে। 

এদিকে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাঃ) মোঃ আজাদ জাহান জানান‘ সরকারী ভাবে ২১ হাজার ৬০০ শত শীতবস্ত্র বরাদ্দ পাওয়া যায় ‘ তা ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন ‘ সরকার শীতবস্ত্র ক্রয়ের জন্য নগদ আরো ৩০ লাখ টাকা দিয়েছে ‘ তা আমরা উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করেছি।’ এখন উপজেলা প্রশাসন শীতবস্ত্র কিনে বিতরণ করবে।’

এছাড়া প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে দুঃস্থ ও নিম্ম আয়ের মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা গেছে।তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস বলছে ‘ ডিসেম্বরের শেষে এই শীত ও কুয়াশা আরো বাড়তে পারে। এছাড়া সামনে জানুয়ারীতে শীতে প্রকোপ আরো বাড়বে।তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান এখন সকাল ১০/ ১১ টার দিকে একটু রোদ উঠবে ‘তবে শীত থাকবে। 

ওই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন ‘ এটাকে আমরা শৈত্য প্রবাহ বলিনা‘ এটা উত্তরের হিমালয়ের বাতাস। জানুয়ারীতে এই বাতাসের প্রবলতা বাড়বে। দিনেও রাতে কুয়াশা ও শীত থাকবে।তেতুঁলিয়ায় শুক্ররবার সর্ব নিম্ম তাপমাত্রা রের্কড করা হয় ‘ ৯ দশমিক ০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। জনসংখ্যা হিসেবে সরকারীভাবে শীতবস্ত্র বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবী রয়েছে মানুষের মাঝে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ