পঞ্চগড়ে রুপালী রঙে ভরপুর আমন ধানের ক্ষেত


পঞ্চগড় থেকে কামরুল ইসলাম কামুঃ
 

ধানের সমারোহে ভরে উঠেছে আমনের ক্ষেত। রুপালী রঙে চারদিকে যেনো মনকাড়া চিত্র। আর যেনো তর সয়না কৃষকের। অতিবৃষ্টির পরেও তাদের আশা বাম্পার ফলনের। যে দিকে তাকানো যায় ধান,আর ধানের রুপালী রঙে সেজেছে আছে মাঠ। মাঠ ভরা ধান আর কদিন পরেই কাটা মাড়াই শুরু হবে। শুধু মন কারেনা’ হৃদয় ও ছুঁয়ে যায়‘। 

হোকনা কেনো কিছুটা কম ফলন । তবুও হাসির পলক কৃষকের মুখে। কার্তিকেই শেষ হবে হয়তো ধান কাটা ও মাড়াই। তবে আগাম জাতের ধান ইতোমধ্যে কাটা শুরু হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে নবান্নের উঁকি-ঝূঁকি কৃষাণ-কৃষাণির মনে অন্যরকম অনুভূতির ছোঁয়া সৃষ্টি করেছে। ফেলে আসা ঝড়-বৃষ্টি প্রাকৃতিক দূর্যোগ আর মহামারি যেনো তাদের সাহস যুগিয়েছে জীবন যুদ্ধে। 

এখন আর কষ্ট নেই।পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মোঃ ওলিয়ার রহমান বলেন‘ ডাঙ্গা জমিতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে । তবে নীচ জমির ধান অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ‘ সব জায়গায় নয়। করোনা প্রভাব আর মৌসুমের সবোর্চ্চ বৃষ্টি পঞ্চগড়ের কৃষকের মাঝে এক অসম্ভব সন্দেহের সৃষ্টি করেছিলো। 

তবে প্রকৃতির উদারতা যেনো তাকে ঠিক জায়গায় রেখে দিয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসের ৩দিনের মধ্যে শেষ দিনের চব্বিশ ঘন্টার বৃষ্টি উচু-নিচু সব জায়গাকে দখল করে তোলে। বণ্যার আশঙ্কায় মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়ে। তবে চট করে সেই বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পর জনমনে স্বস্তি ফিরে। পানি আস্তে আস্তে নেমে যায়। জেলা কৃষি সম্প্রসারনের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আব্দুল মতিন জানান ‘ পানি থেমে যাওয়ার পর নিচু জমির ধান গাছ এমনিতেই দাঁড়িয়ে যায়। 

তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে দেবীগঞ্জ এলাকা।ডাঙ্গা জমির ধান নষ্ট হয়নি। দেবীগঞ্জ উপজেলার চেংঠি হাজরা ডাঙ্গা ইউনিয়নের দন্ডপাল, বাগদহ,প্রধানপাড়া এবং দন্ডপাল ইউনিয়নের মৌমারি , টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের তিস্তাপাড়া ও রামগঞ্জবিলাসি এবংদেবীডুবা ইউনিয়নের খুটামারা। সদর উপজেলার টুনিরহাট, কাজলদিঘী ওদলুয়া। বোদা উপজেলার  ময়দানদিঘী ইউনিয়নের কৈমারি ও কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের আগুনতলা, বাগানবাড়ি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে আমান দানের বাম্পার হয়েছে। 

আগুন তলার কৃষক রহমত জানান ‘মনে হয়েছিলো এবার বুঝি ধানের ফলন ভারো হবেনা। তবে আল্লাহর রহমতে সমস্যা হবেনা। ধান ভালোই হয়েছে’।চেংঠি হাজরা এলাকার সোরায়ার্দি জানান ‘ নতুন ধান প্রতিমন এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।পাইকাররা এসে এলাকার কৃষকের কাছ ধান নিয়ে যায়।জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় এবারে জেলায় ৯৯ হাজার ৯৩৫হেক্টর জমিতে আমন ধান অবাদ হয়েছে।

পঞ্চগড় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুজ্জামান বলেন ‘ জাতীয় পর্যায়ে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যামাত্রা ঘোষনা করা হয়েছে। তবে উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ নির্ধারণ করে জেলায় বরাদ্দ আসবে।’ সেই বরাদ্দ বিভাজন করে উপজেলায় পাঠানো হবে।’ উল্লেখ্য, সরকার এবারের আমন সংগ্রহ মৌসুমে চালে প্রতি কেজি দর নির্ধারণ করে দিয়েছেন ‘ ৩৭ টাকা ও ধান ২৬ টাকা। সংগ্রহ শুরু হবে ১৫ নভেম্বর।’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ