জলঢাকায় রাস্তার কাজ স্থবির হয়ে পড়ায় দুর্ভোগে জনসাধারণ

মো. সাদিক-উর রহমান শাহ্ (স্কলার) রংপুর ব্যুরোঃ

নীলফামারীর  জলঢাকায় রাস্তার উন্নয়ন কাজে  স্থবির হয়ে পড়ায় দূর্ভোগে মানুষ । শনিবার  সরেজমিনে উপজেলার  বিভিন্ন ইউনিয়ন ও এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পৌর শহরের  জিরো পয়েন্ট  থেকে  উপজেলা পর্যন্ত সড়ক, বালাগ্রাম ইউনিয়নের মাইজালি পাড়ার সড়ক,ডাউয়াবারী ইউনিয়নের খেলার মাঠ হতে সিদ্ধেশ্বরী সড়ক, শৌলমারী ইউনিয়নের হাড়াগাছ বান পাড়া সড়ক,হাজীপাড়া  সড়ক,কাঠাঁলী ইউনিয়নের ইউনিয়ন  ভুমি অফিস হতে বগুলাগারী সড়ক, 

সহ বিভিন্ন  ইউনিয়নের সড়ক,জলঢাকা বাদুর দরগা সড়ক , মীরগঞ্জ ইউনিয়নের মীরগঞ্জ  সোলায়মানের চৌপতী সড়কের উন্নয়ন  কাজ স্থবির হয়ে পড়ায়  দুর্ভোগে পড়েছে সড়ক সময়ে চলাচলকারী  মানুষ। গত ৪ মাস আগে পৌর শহর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের  জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় বালু আর ইটের খোয়া  ফেলার পর থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে করোনার কারনে।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের উদাসীনতার  কারণে একদিকে যেমন সরকারের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে অপরদিকে প্রতিদিনই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে  পথচারীদের জানা যায়, এই রাস্তা সমুহের কাজ গত জানুয়ারী  মাস থেকে শুরু হয়েছে এবং এ-ই বছরের   মধ্যে রাস্তাগুলোর কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা শেষ হবে কিনা সন্দেহ । 

কিন্তু  কাজ শুরু  করার পর ৪ মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। নির্দিষ্ট একটা সময় থাকায় যেন গা-ছাড়া দিয়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পৌর শহর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়ক সমুহে এই খোয়া ফেলানো রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও যানবাহন  চলাচল করে । 

কিন্তু খোয়া ফেলানো এই সড়কে মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সচেতন মহল বলছেন, রাস্তার এই ধীরগতির কাজের জন্য  এলাবাসী সহ  ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চলাচল করা  জনসাধারণকে। এসব  বিষয়ে পৌরসভার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে আজ-কাল করে সময় পার করছেন। অথচ ঠিকমতো কাজ করলে খুব তাড়াতাড়ি এই রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ হবে।

মীরগঞ্জ  থেকে আসা এক অটোচালক সুজন সরদার বলেন, 'অন্য কোন রাস্তার সমস্যা নাই। এই এক  কিলোমিটার রাস্তা পার হতে গিয়ে আমার গাড়ির বারোটা বেজে যায়। যার কারণে গাড়ির ক্ষতি সহ চাকা লীক হয় বেশি । আর যাত্রীদের কষ্ট তো আছেই।এই রাস্তাটি পাকা হলে আমাদের অনেক উপকার হবে।

কাঠালী থেকে  আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল  করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অন্য রাস্তা দিয়ে গেলে সময় বেশি লাগে রাস্তা টি সংস্কার হলে যাতায়াতের  সুবিধা হবে। জলঢাকা পৌরসভার প্রকৌশলী  বলেন,  আমরা চেষ্টা করছি  যাতে নির্দিষ্ট সময়ের আগে রাস্তার কাজটি শেষ করা যায়।

জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেটের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে হলে তিনি জানান আমি প্রকৌশলীকে বলে দিয়েছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ