গাইবান্ধায় পরিচয় সাংবাদিক তাই নিজের মনস্কামনায় অন্যের গেল ধর্মীয় জাত কুল

আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধা জেলা শহরের আগে চিত্র যেমন পরিবর্তন হয়েছে অনেক কিছুর। যেমন নিত্য নতুন স্থাপনা ও অন্যান্য উন্নয়ন তেমনি জেলা জুড়ে সাংবাদিক বৃদ্ধি পেয়েছে অন্য মতোন যা আজ গলদে গলদ খোঁজার মতো অবস্থা । জেলায় আজ এক শ্রেনীর সাংবাদিক রয়েছেন তারা দল বেধে খেও দিয়ে আয় করে। নিউজ হোক আর না হোক আয় কম যেন  হয় সেদিকে যাদের মুল্য লক্ষ্য। 

তারা কেউ পেশায় রং মিস্ত্রি ছিলো,কেউ ছিলো হোটেল কর্মচারী, এস এসসি পাশ নয় পত্রিকার হকারি করতে করতে আজ ইংলিশ পত্রিকার গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হতে ষ্ট্যাফ রিপোটার ,অনেকে এরকম আছে কেউ পকেটমার ছিলো,কেউ কোট বারান্দার মহুরীগিরি করতো ,কেউ আবার চা দোকানি,আবার কেউ মাদক ব্যবসায়ি ও মাদকসেবী অথবা মাদক কারবারিদের সহযোগী। এছাড়াও আছে ডাকাত ও চোরাকারবারিরা তো রয়েছেই। 

আবার কেউ কেউ গালাবাজ ও টেন্ডেল কিছু করতে পারুক আর না পারুক তেলবাজিতে ষোলআনা পারে। বড় ছোট না বাহারের গাড়ী দামী মটরসাইকেল হাকিয়ে চলে সাংবাদিক নয় দেখে মনে হয় মন্ত্রী মশাইয়ের আদরের পোলা। আর এভাবেই চলাচলে মানুষকে সহজেই ব্ল্যাক মেইল করতে তারা। ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা না খসলে তথ্যের অবাধ প্রবাহ কে গতি রোধ করতে নানা অভিযোগ তুলে হয়রানি মুলক  নিউজ প্রকাশও করেন প্রতিনিয়ত। 

এ কারণে অনেকের নামে মামলা মোকাদ্দমা রয়েছে। এসব মামলা সব গুলোতে তারা অপরাধী তা যেমন নয় আবার সব ঘটনায় যে তারা নির্দোষ তাও কিন্তু নয়। আজ জেলায় সাংবাদিকতা পেশাটাকে কোথায় নিয়ে গিয়ে ঠেকিয়েছেন এ শ্রেনীর গণমাধ্যম কর্মীরা তারা বিনাপূজির দারুন ব্যবসায় চলমান , দিন দিন এরকম নানা ব্যবসায়ি সংখ্যা বাড়ছে আর বাড়ছেই। আমরা জুনিয়রর বিগত সময়ে দেখতাম লেখুক,ভাবুব,চিন্তুক মানুষ গুলো লেখা লেখি করতো আমরা তাদের দেখে ইচ্ছা হতো আমিও বড় হয়ে একজন কলম সৈনিক হবো । 

কলম দিয়ে সত্য তুলে ধরে সমাজ ও দেশের স্বার্থে প্রিয় জনগণের স্বার্থে কাজ করবো। সমাজের মানবিক অমানুবিক বিষয়,অন্যায় অনিয়ম,ভালো মন্দ গুলো ,সত্যটা সত্য আর মিথ্যাটা মিথ্যা হিসাবে তুলে ধরবো সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবো। সর্বদা সৎপথে নিজে চলবো অন্যকে চলতে পথ দেখাবো।

কিন্তু সেই দিন আর নাই। ভাবার সময় কই ,দেখার চোখ কই,শোনার কান কই,বোঝার মতো মানসিকতা তো দূরের কথা নুন্যতম ব্যক্তিত্ববোধ যাদের শূন্যের কোঠায়।নিজ স্বার্থ যাদের কাছে বড় বিষয়  তারাই আজ জেলার সাংবাদিক এদের কতরকম দেখা গেলো কেই জুয়া নিয়ে গ্রেফতার ,কেউ মাদক নিয়ে গ্রেফতার,কেউ নারী কেলেংঙ্কারি জড়িত,কেউ মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় গ্রেফতারও হয়েছে একাধিকবার। 

কাউকে আবার নানা শ্রেনীর অপরাধীরা যারা নিজেদের কর্মকাজ সম্পূর্ণ করতে এই পেশাটাকে লেবাস হিসাবে ব্যবহার করে চলছে। আজ বড় বড় সাফল্য গুলো ছোট ছোট ক্ষুদ্র কণার মতো অপরাধ গোটা জেলা জুড়ে সাংবাদিকদের ধিক্কার দিচ্ছে স্ব স্ব বিবেবকবাবু। সাংবাদিক এর দাড়ায় যদি অন্যধর্মালম্বী মানুষের সম্মানহানির ঘটনা ঘটে। বা ভুক্তভোগী পরিবারটিকে ব্ল্যাক মেইল করে জিম্মি রাখতে ভয়ে দেখিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয় সেটা বড় অন্যায়। 

আর এই অন্যায় কাজটি যদি একজন সচেতনদাবীকারী মানুষের দাড়ায় হয় সেটা মেনে নিতে অনেকের কষ্ট যেমন হয় তেমনি অনেকে আবার এরকম অবস্থা দেখতে দেখতে অভ্যাস্ত হয়ে কাল বোবা হয়ে রয়েছে। গাইবান্ধায় এমন একটি ভুক্তভোগী পরিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, ঘরে প্রথম স্ত্রী সন্তান থাকার পরও সাংবাদিকতার দাপট দেখিয়ে ব্লাক মেইল করে রাখা হয়েছিলো সাধু কন্যাকে এরপর জিম্মি করে হিন্দু সম্প্রদায়ের এ সাধু পরিবারের মেয়েকেসহ ৫ লক্ষ টাকা ৩ ভরি স্বর্ণসহ ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রায় দীর্ঘ এক মাস পর অবশেষে কোর্টে এ্যাফিডেফিটের মাধ্যমে মুসলমান বানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আনন্দ টেলিভিশনের ষ্ট্যাফ রিপোটার মিলন খন্দকার। 

ভুক্তভোগী সাধু পরিবারটির দাবী নারী লোভী মিলন খন্দকার সাধু কন্যাকে ব্ল্যাক মেইল করে জিম্মি করে রেখেছেন। যার কারণে তার মেয়ে আজ ধর্মত্যাগ করে এমন কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন।ভুক্তভোগী সাধু বলেন মিলন খন্দকার আমার মেয়েকে জিম্মি করে রেখেছেন । মিলন খন্দকারের ক্যামেরা ,মোবাইল,পেনট্রাইভসহ সামগ্রীক ব্যবহৃত ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর গুলো জব্দ করলে এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন এঘটানায় আমরা যদি কোন থানা বা আইনের সহায়তা নেই বা মামলা মোকাদ্দমা করি তাহলে আমার পরিবারকে শেষ করে দেওয়াসহ আমার কন্যাকে হত্যা এবং সম্মানহানিকর ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। 

একারণে আমরা থানা পুলিশের নিকট যাইতে পারছিনা বিধায় আমি আমার ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের নিকট অভিযোগ দিয়েছি।তিনি তার কন্যাকে ফিরে পেতে ও রক্ষার জন্য বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এমতবস্থায় বর্তমানে মান সম্মান আর সামাজিক মর্যাদার কথা চিন্তা করে নিজ ঘরেই গুমরে গুমরে কাঁদছেন হিন্দু ধর্মলম্বী গাইবান্ধার ঐ সাধু পরিবারটি। তারাদের নানাভাবে হুমকি ধামকিসহ ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে উক্ত গ্রামের গ্রামবাসী বাসিন্দারাসহ জেলার হিন্দু ধর্মের নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় তিব্র নিন্দা জানিয়ে  এর প্রতিকার দাবী করেন । ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবী করেছেন হিন্দুধর্মালম¦ী সর্বস্তরের মানুষ ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের আব্দুল জোব্বারের ছেলে এই মিলন খন্দকার এক সময় ডিসি অফিস চত্বরে হকারী করতো। সেখান থেকে একজন আইনজীবির সাথে সখ্যতা গড়ে দুই বছর আড়াই বছর মহুরী হিসেবে কাজ করে কিছু আইন কানুনের ধারা শিখে নিয়ে প্রথমে স্থানীয় পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। 

অনেকেরই ধারণা মিলন খন্দকার খুব সম্ভবত এসএসসি পাশ না হয়েও তিনি দৈনিক জনতা, আনন্দ টেলিভিশন এবং রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক দাবানল পত্রিকার গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিত্ব নিয়েছেন যেখানে তিনি ভুয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ্য করছেন বলে জেলার একাধিক গণমাধ্যমকর্মীরা দাবী করেছেন ।

সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড গলায় ঝুঁলিয়ে এই মিলন খন্দকার জেলা জুড়ে ব্যাপক অপতৎপরতা চালিয়ে মানুষকে জিম্মি করে রেখেছেন। মানুষকে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া তার পূর্ব অভ্যাস । আরো জানা যায়, কিছুদিন আগে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে গাইবান্ধার রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দের হাতে গণধোলাই খায় এই মিলন খন্দকার। এরপর একটি বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ে হচ্ছে বলে মোটা অংকের টাকা দাবী করায় উত্তেজিত জনতা কর্তৃক এই সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাংচুর, গণধোলাই দিয়ে ঘরে আটকিয়ে রাখলে অবশেষে স্থানীয় পত্রিকার এক সম্পাদকের অনুরোধে থানা পুলিশ গিয়ে এই সাংবাদিককে উদ্ধার করে। 

তাছাড়া এই সাংবাদিক মিলন খন্দকারের বিরুদ্ধে একাধিক নারী ক্যালেঙ্কারীর ঘটনাসহ  নানা অপরাধমূলক কাজের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও সে নিজের দাদন ব্যবসাসহ নানা অপকর্মকে দিব্বি চালিয়ে যেতে সাংবাদিকতা পেশাকে সাইন বোর্ড হিসাবে ব্যবহার করেন। আর এ সাইন বোড ব্যবহার করে জেলার সরকারি আধা সরকারি অফিস গুলোসহ জেলার হাসপাতাল,সাবরেজিস্ট্রার অফিস,ইটভাটা গুলোতে ব্যাপক ভাবে চাদাবাজি ও মাসোহার গ্রহন করেন বলে দাবী করেন অনেকেই এর প্রমাণ তার ব্যক্তিগত বিকাশ একাউন্ট নাম¦র চেক করলেই মিলবে চাঁদা আদায়ে সত্যতা।  

এসব বিষয়ে জানতে শহরের ভিএইড রোডে বসবাসকারী  মিলন খন্দকারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সাধু কন্যাকে ব্ল্যাক মেইল করে বিবাহ করেছেন মর্মে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সাধু কন্যা কে বিবাহ করি আর রাজকন্যাকে বিবাহ করি তো কি হয়েছে । আর সাধু কন্যাকে ব্ল্যাক মেইল করেছি তার কি প্রমাণ আছে  তুমি সাধু পরিবারকে নিয়ে হাইকোর্টে যাও।  সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্টেট কোর্টে এ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে ধর্মত্যাগ করে মুসলমান হয়েছে সেখানে আর অন্য হিসাব রয়েছে। 

আর এ বিষয়ে সাংবাদিক শাহজাহান সিরাজ এর বিরুদ্ধে থানায় এক কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছি । সাধু কন্যার বর্তমান তাহার বিবাহিত স্ত্রী বলে দাবী করেন তিনি। নিকাহ নামা অনুযায়ী সাধুকন্যা ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন । এবং তার নাম পরিবর্তন করেছেন।

এবিষয়ে সদর থানা অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ শাহরিয়ার জানান, এ ঘটনায় থানা এ পর্যন্ত কোন অভিযোগ কেউ করেনি । তবে বেশকিছু দিন আগে মেয়ে পরিবারটি সদর থানা একটি জিডি করেছিলো এ জিডি করায় মেয়েটি নিজেই থানায় এসেছিলো এবং মেয়ে পরিবারকে ডেকে মুখোমুখি করা হয়েছিলো মেয়েটি পিতার পরিবারের সাথে ফিরে যাইনি। সে বলেছে  পরিবারের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই । সে এখন অন্য র্ধম গ্রহন করে জীবন যাপন করছে । 

নির্বাহী ম্যাজিস্টেট রমেশচন্দ্র সেন দাগা স্যারের আদালতে এ্যাফিডেফিট করেছেন। তবে থানা এখনো কোন পক্ষ হতে কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। এছাড়া শোনা যাচ্ছে যে মেয়েটি উপরোন্ত নাকি আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে সাংবাদিক মিলন খন্দকারের বিরুদ্ধে থানায় কে কোন অভিযোগ দেননি বা মিলন খন্দকার কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেনি ।

স্থানীয় সচেতন   সাংবাদিকগণের মতে যদি মেয়েটি মিলন খন্দকারের পক্ষে থাকে তাহলে আইনে সে বেচে যাবে তবে পারিবারিক ভাবে যে সমস্যায় পড়বে সেটাই সবচেয়ে বড় সাজা হবে । এমন কিছু কর্মকার্জ সৃর্ষ্টিকর্তা কখনো কাউকে ছাড় দিবে না সে যত শক্তিশালিই হোক ।

উল্লেখ্য, প্রায় এক মাস আগে বাড়ী হতে বেরিয়ে পড়ে গাইবান্ধার সেই সাধু কন্যা  এরপর গত ১৫ সেপ্টেম¦র কোর্টে এভিডেফিট করে ধর্মত্যাগ করে মিলন খন্দকারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এঘটনাটির ভুক্তভোগী সাধু পরিবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাসিন্দা তারা বিষয়টির বিচার দাবী করলেও কোথাও কোন লিখিত ভাবে আইনগত সহায়তা না চাওয়া এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।  

যে বিষয়টি নিয়ে হিন্দু ধর্মালম্বী নেতৃবৃন্দ , সাংবাদিক সমাজ, সাধারণ মানুষের মাঝে গাইবান্ধা জেলা জুড়ে চাপা সমালোচনা ক্ষোভ শুরু হয়েছে । উপরোক্ত বিষয়টি অধিকত্বর তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ