নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে হাঁসের খামার

মোঃ সাদিক-উর  রহমান শাহ্ (স্কলার) রংপুর ব্যুরোঃ 

টানা ছয় দিনের অতিমাত্রার বৃষ্টির পানির কবলে পড়ে খামারে পানি উঠে মারা গেছে ছয়শত ৭১টি হাঁস। নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের কুটিপাড়ার বাসিন্দা চারবন্ধুর হাঁসের খামারে এ ঘটনায় তাদের মাথায় বাজ পড়েছে।

আজ মঙ্গলবার(২৯ সেপ্টেম্বর/২০২০) ঘটনাস্থলে গেলে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে তাদের হাঁসের খামারটি। ওই গ্রামের চার বন্ধু কলেজ ছাত্র তাহেরুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, কবির বাবু মিয়া ও গোলসান জানান, গত কয়েক দিনের টানা ভারী বৃষ্টির পানিতে হাঁসের খামারটি তলিয়ে যেতে থাকে।

তারা জানায়, করোনাকালীন কলেজ বন্ধ থাকায় চার বন্ধু মিলে চার লাখ টাকা দিয়ে হাঁসের খামারটি গড়ে তুলেছিল। চলতি বছরের ১৮ জুলাই নওগাঁ সরকারী হাঁসের খামার হতে একদিনের মোট দুই হাজার ৫৩টি হাঁস এনে লালন পালন করছি। টানা বৃষ্টিতে ৬৭১টি হাঁস পানির তোরে মারা যায়। এছাড়া ২০টি বস্তায় হাঁসের খাদ্য ভেসে গেছে। তারা দ্রুত অন্য হাঁসগুলো বাচাঁনোর জন্য উচুঁ ঘরে স্থানান্তর করে। বেঁচে যায় ১ হাজার ৩২২টি হাঁস।

তারা কান্নায় বিজরিত কন্ঠে বলেন, হাঁসগুলো আমরা পরিচর্যা করে বড় করেছিলাম। এক একটি হাঁসের বর্তমান বাজার দর প্রায় তিনশত টাকা করে। এ ছাড়া হাঁসের চারটি  ডিমের মূল্য ৪৫ টাকা। শুরুতে আমরা বড় ধরনের হোচট খেলাম। এখন বাকী হাসগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে খামারটি চালু করতে আমাদের নতুন করে যুদ্ধে নামতে হবে।

মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হোসেন শিহাব জানান, চার বন্ধু মিলে খামার করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু টানা ৬দিনের অতিমাত্রারা বৃষ্টিতে তাদের হাঁস মরে যাওয়ায় ছেলেগুলো বিপদে পড়লো। তিনি আরও জানান তার ইউনিয়নে প্রায় একশত পুকুরের মাছ সম্পূর্ণ ভেসে গেছে । অন্যদিকে ১৫০ একর জমির আমন ধান ও সবজি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।

কিশোরীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হোসেন মোহাম্মদ রাকিবুল রহমান জানান, আমরা খোঁজখবর নিয়েছি। হাঁসের খামারে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য কোন সহযোগিতার সুযোগ থাকলে আমরা তাদের সহযোগিতা করব।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ