সুষম বন্টনও ডিজিলাইমনের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের মাঝে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠনী তৈরী করা হবে- রেল মন্ত্রী

মোঃ কামরুল ইসলাম কামু পঞ্চগড়ঃ  
রেলপথমন্ত্রী অ্যাডভোকেট  নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন‘ সমাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীর সুষ্ঠু ও সুষম বন্টনের মাধ্যমে  দেশের সুবিধা ভোগীদের ডিজিটালাইশনের আওতায় সুবিধা সকলের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হবে। 

শনিবার দুপুরে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড়ের বোদা ও দেবীগঞ্জে এই সফট্ওয়্যার ও মোবাইল এ্যাপের মাধ্যমে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণের মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ভিডিও বক্তব্য শোনানো হয়।

এসময় রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমেই সব সেবা সুবিধাভোগীদের মাঝে যেমন সহজেই পৌঁছে দেয়া সম্ভব। তেমনি জনসংখ্যা বা দারিদ্রকে ভিত্তি ধরে বিভিন্ন এলাকায় সুবিধার সুষম বন্টনও করা যাবে। 

এজন্য সফট্ওয়্যার ও মোবাইল এ্যাপ ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এটা আমাদের বেশ কাজে দেবে বলে আমরা ধারণা করছি। একই সাথে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি শৃংঙ্খলা পুর্ণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এটা সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাধারণ মানুষ সরাসরি এসে নানা ভাতা ও সুবিধা পেতে তদবির করে। তারাই একে অপরের বিষয়ে বলে ‘ও তো ওটা পেয়েছে, ওকে না দিয়ে আমাকে দেন’। এমন অনুযোগের তাৎক্ষণিক সমাধানেও এই সবুজপাতা সফট্ওয়্যার ও মোবাইল এ্যাপ তাকে সাহয্য করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা যাতে এগিয়ে চলতে পারি সে জন্য আধুনিকায়নের বিকল্প নেই। তাই পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি শৃংঙ্খলা পুর্ণ ব্যবস্থা ও জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এটি চালু হলে সেবা প্রদান সহজসহ দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে। ঘরে বসেই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হবে। 

এক ক্লিকে ডাটাবেজে এন্ট্রি সকল উপকার ভোগীর নাম জানা যাবে।তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ভিডিও বক্তব্যে বলেন, এমন উদ্ভাবনী উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। কার্যকর প্রমাণিত হলে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এটি ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হবে।

সবুজপাতা সফট্ওয়্যার ও মোবাইল এ্যাপের উদ্যোক্তা রেল মন্ত্রীর ছেলে ব্যারিস্টার কৌশিক নাহিয়ান নাবিদ বলেন, এর মাধ্যমে খুব সহজেই একজন সুবিধাভোগী আগেই জানতে পারবেন কবে তিনি তার প্রাপ্য সুবধিা পাবেন, আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে তাকে চিহ্নিত করা ও সুবিধা দেয়াও সহজতর হবে। এতে সুবিধাভোগীসহ সংশ্লিষ্টদের সময় যেমন সাশ্রয় হবে, তেমনি তাদের অহেতুক হয়রানিও দূর হবে। 

পাশাপাশি একজনের সুবিধা আরেকজনের গ্রহণ করা ও একই সুবিধাভোগীর একাধিক সুবধিা গ্রহণসহ ছোট-খাট অনিয়ম রোধ করাও সম্ভব হবে। এক কথায় একক্লিকে সুবিধাভোগীর সব তথ্য স্ক্রীনে ভেসে উঠবে।

তিনি জানান, সবচেয়ে বড় কাজ হল সব সময়ের ব্যবহারের জন্য একটি ডাটাবেজ এতে সংরক্ষণ করা থাকছে। যে ডাটাবেজ ব্যবহার করে সহজেই যে কোন প্রতিকুল সময়ে দ্রুত সুবিধাভোগী চিহ্নত করে তাদের বা ডাটাবেজের বাইরে থাকা লোকজনকে সুবিধা প্রদান করা যাবে। 

ডাটাবেজের বাইরে থাকা লোকজনকে সুবিধা দেয়ার সময়ই ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।এই সফট্ওয়্যার ও মোবাইল এ্যাপসের মাধ্যমে শুধু সমাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচী বাস্তবায়নই নয়, নাগরিক নানা সেবাও প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মানে ও প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই।

 এজন্য প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও তাঁর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও এর সুফল পেতে নতুন উদ্ভাবন জনগনের কাছে পৌছে দিতে এই সফট্ওয়্যার ও মোবাইল এ্যাপস চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহেনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়, অপ্রতিরোধ কুড়িগ্রামের সভাপতি চৌধুরী মো. তানভিরুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চিশতি, ইউএনও প্রত্যয় হাসান. উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হাসানাত জামান চৌধুরী জর্জ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ