ডোমারে ২ এনজিও কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা সেই মোস্তাকিম পুলিশের হাতে আটক

রতন কুমার রায়, স্টাফ রিপোর্টার: 
নীলফামারীর ডোমারে ঘটনার ৮ ঘন্টার মধ্যে আশা এনজিও’র দুই মাঠকর্মীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা সেই মোস্তাকিমকে আটক করেছে ডোমার থানা পুলিশ।

রবিবার রাত সাড়ে আটটায় উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের জয়ডাঙ্গা এলাকা হতে তাকে আটক করা হয়। মোস্তাকিম সোনারায় ইউনিয়নের চাকধাপাড়া এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে।

ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ জানায়, রবিবার দুপুরে দুই এনজিও কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার পর হতে ডোমার থানার পুলিশ চারটি দলে ভাগ হয়ে মোস্তাকিমকে খুঁজতে থাকে। পুলিশ মোস্তাকিমের শরীরের বর্ণনা দিয়ে চারিদিকে সোর্স লাগিয়ে দেয়। 

সোর্সেদের তথ্যে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ অভিযান চালালেও মোস্তাকিম পালিয়ে যায়। সে প্রতিমূহুর্ত তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। রাত সাড়ে আটটায় মোস্তাকিম জয়ডাঙ্গা এলাকায় অবস্থান করছে পুলিশ সংবাদ পেলে, চারিদিক থেকে পুলিশের সদস্যরা ঘিরে ফেলে। পুলিশকে দেখে মোস্তাকিম রাস্তা থেকে নেমে ধান ক্ষেত দিয়ে দৌড় দেয়। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বদেব রায়, এসআই কমলেশ রায়, এএসআই আনোয়ার হোসেন, মঞ্জুরুল হোসাইন ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে। 

ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, মোস্তাকিমকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরো জানান, এনজিও কর্মীদের কোপানোর পর পরেই ডোমার থানার পুলিশ সদস্যরা কয়েক ভাগে ভাগ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় সাড়াঁশি অভিযান চালায়। তাকে দ্রুত আটক করে আমরা অপরাধীদের জানিয়ে দিলাম, ডোমারে অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।

প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে চাকধাপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের বাড়ীতে যায় আশা এনজিও’র মাঠকর্মী সিরাজুল ইসলাম (৪৮) ও  আব্দুল আলীম (৩৩)। ওই সময় বৃষ্টি হওয়ার কারণে তারা দুইজনে আফজালের ঘরে আশ্রয় নেয়। এসময় পাশের বাড়ীর মাদকসেবী মোস্তাকিম (৩২) একটি ছুরি নিয়ে ওই ঘরের ভিতরে ঢুকে ভিতর দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিয়ে সিরাজুল ইসলাম ও আব্দুল আলিমকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় ।

                                             

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ