ডোমারে শয়ন ঘর হতে সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা চুরির রহস্য উৎঘাটন

রতন কুমার রায়, স্টাফ রিপোর্টার: 
অবশেষে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ ময়দান পাড়া এলাকার চাতাল ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান দুলুর বাড়ীর সকলকে খাদ্য চেতনানাশক ঔষধ খাওয়াইয়ে অজ্ঞান করে নয় লক্ষ ২৫ হাজার টাকা চুরির রহস্য উৎঘাটন করেছে পুলিশ।

পাঁচ মাস পর ওই চুরির ঘটনার সহস্য উৎঘাটন হলো। বুধবার রাতে ঠাকুরগাও সদর উপজেলার শিংগিয়া এলাকার তমিজ উদ্দিনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেনকে (৩৫) তার বাড়ী হতে ডোমার থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বিশ্বদেব রায় ও এসআই আজম প্রধান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। 

সে পুলিশকে চুরির বিষয়টি স্বিকার করে, বিস্তারিত বর্ণনা করে। সাজ্জাদ সম্পর্কে দুলুর খালাতো ভাই। সাজ্জাদ চোরদের সকল তথ্য দেয় ও নিজেও সরাসরি চুরিতে অংশগ্রহণ করে বলেও স্বিকার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাজ্জাদ আদালতে স্বিকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে, তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ জানান, চলতি বছরের ১৮ মার্চ দুপুরে সাজ্জাদ বেড়াতে আসে মির্জাগঞ্জ এলাকার খালাতো ভাই দুলুর বাড়ীতে। সন্ধ্যার দিকে সাজ্জাদ রান্না ঘরে গিয়ে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয়। জরুরী কাজ আছে বলে রাতের খাবার না খেয়েই দুলুর বাড়ী হতে সাজ্জাদ চলে আসে। রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর রাত দুই টার দিকে সাজ্জাদ আবার দুলুর বাড়ীতে ফিরে আসে। 

সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন দেখতে পেয়ে সাজ্জাদ তার সহযোগী চোরদের দুলুর বাড়ীতে আসতে বলে। আড়াই টার দিকে বোদা উপজেলার নুরুজ্জামান (৪০), আবু তাহের (৩৬), আটোয়ারী উপজেলার বিপুল ইসলাম (৩৬), দেবীগঞ্জ উপজেলার সেলিম (৩৯), হাবিবুর রহমান (৪২), ঠাকুরগাও সদর উপজেলার শাহিনুর (৩২) সহ ছয় জন দুলুর বাড়ীতে চুপিসারে প্রবেশ করে। 

আবারো বাড়ীর ঘুমন্ত সদস্যদের তারা চেতনানাশক স্প্রে করে। ঘরের স্টিলের আলমিরা ভেঙে ধান বিক্রির নয় লক্ষ ২৫ হাজার টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়। এরপর দেবীগঞ্জ উপজেলার ধুলাঝাড়ি এলাকায় গোপনে তারা টাকা ভাগাভাগি করে নেয়। সাজ্জাদ ও হাবিবুরকে ৩০ হাজার করে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে তাদের বিদায় দেয়। বাকি  আট লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা পাঁচ জনে ভাগ করে নেয়। 

নুরুজ্জামান ওই চুরির টাকা দিয়ে গ্রামের বাড়ীতে বাড়ী নির্মান কাজ শুরু করে। তারা দেবীগঞ্জ উপজেলায় একাধীক চুরির সাথেও জড়িত বলে স্বিকার করে সাজ্জাদ। এর আগে এ চুরির আরেক আসামী হাবিবুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। হাবিবুরের তথ্যের ভিত্তিতে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ  মোস্তাফিজার রহমান জানান, চুরির ঘটনাটি ঘটার সাথে সাথে আমরা বিভিন্ন ভাবে অনুসন্ধান করতে থাকি। কোন ক্লু না থাকায় এতোদিন সময় লাগলো সহস্য উৎঘাটনে। এ পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন আমরা চোরদের পরিচয় সনাক্ত করেছি। বাকিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ