পঞ্চগড়ে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু

মোঃ কামরুল ইসলাম কামু পঞ্চগড়ঃ 
পঞ্চগড়ের সাপ ধরতে গিয়ে সাপের কামড়ে শামিম ওরফে কালঠু (৩৬) নামে এক সাপুড়ের মৃত্যু হয়েছে। সাপ ধরার ক্ষমতা দেখাতে গিয়েই তিনি মুহুর্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। রোববার দুপুরে বোদা উপজেলার কাজলদিঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত সাপুড়ে উপজেলা সদরের কামাতকাজলদিঘী ইউনিয়নের পেত্মানিরহাট এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয়ভাবে সাপুড়ে ও মাহান (ওঝা) হিসেবে পরিচিত শামিম তার তিন সহযোগি নিয়ে ওই এলাকার সফিকুল ইসলামের বাড়িতে সাপ ধরতে যায়। 

বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই ব্যক্তির বাড়িতে বিষাক্ত গোখরা সাপের আনাগোনা লক্ষ্য করছিল তার পরিবারের লোকজন। বাড়িতে সাপের উৎপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা সাপ ধরার জন্য ওই সাপুড়েকে খবর দেন। সাপুড়ে এসে বাড়ির বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে তার সহযোগিসহ একটি সাপ ধরেও ফেলেন। এই সাপ বিষাক্ত গোখরা বা গোমা সাপ বলে স্থানীয় পরিচিত। 

ধরার পর সবাইকে দেখিয়ে সাপটিকে বস্তাবন্দি করছিল শামিম। এ সময় হঠাৎ সাপটি লাফিয়ে উঠে এবং সাপুড়ে শামিমের পেটে ছোবল দেয়। মুহুর্তেই তার সাড়া শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও তাকে হাসপাতালে নিতে রাজি হয়নি শামিমের সহযোগিরা। তারাই তাদের মত করে ঝাড়ফুঁক করে ভাল করার চেষ্টা করেন। 

এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এর কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সাপুড়ে শামিম। পরে তার লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাপটি বস্তাবন্দি করা ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ৭/৮ বছর ধরে শামিম বিভিন্ন এলাকায় সাপ ধরতে যেতেন। সাপ ধরা এবং সাপের খেলা দেখানোই ছিল তার পেশা। 

তিনি সাপের খেলা ও যাদু খেলা দেখিয়ে সংসার চালাতেন। সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে কাজলদিঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলাল বলেন, সাপ ধরতে এসে ওই সাপুড়ে সাপটি ধরেছিলেন। সাপটিকে বস্তায় ঢুকানোর সময় লাফিয়ে উঠে তাকে ছোবল দেয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ