রতন কুমার রায়, স্টাফ রিপোর্টার:
জেলার ডোমারে কয়েক দিনের ভারি বর্ষনের কারনে সবজির দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে চাল,মাছ,মাংস ও দেশী মুরগীর দাম। বর্ষা মৌসুমেও দেশী মাছ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে রয়েছে।
ভারী বর্ষনে সবজী ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় বাজারে উর্দ্ধগতি দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে কৃষকেরা। আর এর প্রভাব পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে।
উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন বাজার ঘুড়ে দেখা গেছে প্রায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে তিনগুন । ৪০ টাকা দরের কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০/১৫০ টাকায়।
আলু প্রতি কেজি ৩০ টাকা , পটল ৩৫ টাকা, বেগুন ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫ টাকা, কায়তা ৩৫ টাকা, করলা ৪০ টাকা,বটবটি ৩৫ টাকা, সজি ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, জিঙ্গা ৩৫ টাকা, কচুর লতি ৩৫ টাকা,ধুমা ৩০ টাকা,পেঁপে ৪০ টাকা, শশা ৩০ টাকা, কচুর ফুল ১৫ টাকা,
মিষ্টি কুমড়া ১৫ টাকা, পুঁইশাক প্রতি কেজি ২০ টাকা,লালশাক ৩৫ টাকা, কলমিশাক ২০ টাকা, ঢেঁকিশাক ৩০ টাকা, পানি কচু প্রতি পিচ ৪০ টাকা, পানি কুমড়া প্রতি পিচ ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৩০ টাকা ও কাঁচা কলা ২০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। পিয়াজের দাম নাগালের মধ্যে থাকলেও রসুন একশত টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে
সবজি কিনতে আসা আলমগীর হোসেন বলেন, বর্তমানে সবজির দাম যে ভাবে দিন দিন বাড়তে শুরু করেছে তাতে করে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষেরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেছি। এমনিতে করোনার কারনে ঠিকমত কাজ কর্ম করতে পারছিনা তার উপর কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি বাড়ীথেকে বেরাতে পারছিনা আয় রোজগার নেই,
এদিকে সবজির বাজারেও আগুন লেগেছে, আমাদের এখন মরন ছাড়া আর কোন উপায় নেই। সবজি বিক্রেতা কারিমুল জানান, বর্ষার কারনে মালের সংকট হওয়ায় দাম বাড়ছে। সবজির আমদানি কম হওয়ায় বাজার উর্দ্ধগতি।
অপর সবজি বিক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, বৃষ্টির কারনে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আমদানি কমেছে তাই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডোমার পৌর কাঁচা বাজার সমিতির সহ- সভাপতি নুর আলম জানান, বৃষ্টির কারনে সবজির গাছ মারা যাওয়ায় আমদানি – রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে, বৃষ্টির আগে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ টন সবজি এই বাজারে বেচা- কেনা হতো,বর্তমানে ১টন মালের আমদানি নেই।
আমাদের এই পৌর কাঁচা বাজার আড়ত থেকে ডিমলা, খোকার হাট, ডঙ্গার হাট. সুন্দর খাতা, বড় খাতা, ডালিয়া, পাটগ্রাম, দেবীগঞ্জ, সাকোয়া ও বোদা থেকে পাইকাররা এসে কাঁচা মাল নিয়ে যায়, কাঁচামাল না থাকায় কেনা বেচা বন্ধ হয়ে গেছে, বাজারে প্রতিদিন প্রায় দেড় শতাধিক লেবার কাজ করতো তারাও এখন বেকার হয়ে পড়েছে।
এদিকে সবজীর পাশাপাশি বেড়েছে মাছের দাম। বর্ষা মৌসুমেও দেশী মাছ ছয়শত থেকে আটশত টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশী মুরগী ৪৫০ টাকা কেজি আর ৪৪টাকা কেজির নিচে কোন চাল বিক্রি হচ্ছেনা। আর এসবের কারনে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ বিপাকে পরেছেন। কাচাঁবাজার করতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান জানান, ডোমার উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে। গত ১৬ই মার্চ থেকে ৩০শে জুন পর্যন্ত সবজি ক্ষেতের কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি, বর্তমানে বর্ষার কারনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ