নীলফামারীতে জাল টাকার নোটসহ প্রতারক চক্র আটক

মোঃ সাদিক-উর রহমান শাহ্ (স্কলার) রংপুর ব্যুরোঃ 
৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৬ শত টাকার জালনোটসহ, জালনোট তৈরি চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নীলফামারীর ডোমার থানার পুলিশ। 

গত ২২ জুন সোমবার সাদ্দাম হোসেন নামের একজনকে আটক করে ডোমার থানার পুলিশ। তারেই সূত্র ধরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জালনোট তৈরি চক্রের আরো ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আজ বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস রিলিজে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম, পিপিএম । 

পুলিশ সুপার বলেন, গত ২২ জুন দুপুর বেলায় সাদ্দাম হোসেন ডোমার বাজারে একটি স্যানিটারীর দোকানে পানির ট্যাপ কিনে দোকানদারকে এক হাজার টাকার নোট দেয়। দোকান মালিক টাকাটি জাল বলে সন্দেহ করলে সাদ্দাম আসল বলে চ্যালেঞ্জ করে। 

এক পর্যায় তাদের দুজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হলে আশ পাশের লোকজন সন্দেহজনক ভাবে সাদ্দামকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ডোমার থানার এস.আই জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল গেলে তার কাছ থেকে আরো একটি ১ হাজার টাকার জালনোট পেলে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। 

সাদ্দাম টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার কাতলীতরবগঞ্জ গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ঐদিন আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার সার্কের) জয়ব্রত পাল এর নের্তত্বে, 

ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান সহ পুলিশের একটি টিম দিনাজপুর কোতয়ালী থানা পুলিসের সহায়তায় দিনাজপুর সদর চকবাজার লেনস্থ মৃগয়া আবাসিক হোটেলের ৬তলা ৬০৩ নং কক্ষ থেকে 

শামসূল(২৯), মাসূম মিয়া (২৮), সাইদুল খাঁ (২৬).ও শফিকুল ইসলাম (২৪) কে আটক করে। 
এবং তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সিরিজের ৩৮৫টি ১হাজার টাকার নোট, একটি ৫শত টাকার নোট, একটি ১শত টাকার মোট ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬শত জালনোট- জাল টাকা বিক্রির ২৩ হাজার ৬শত ৪০ টাকাসহ জালটাকা বিক্রির কাজে ব্যবহৃত ৭টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।


পুলিশ সুপার বলেন, আসামী শামসুল ও শফিকুল ইসলামের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানায়, মাসুম মিয়ার বাড়ি ঢাকা যাত্রাবাড়ি ও সাইদুল খাঁর বাড়ি মাদারীপুর জেলার সদর থানায়।


আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪এর ২৫এ (বি) ধারায় ডোমার থানায় মামলা রুজু করা হয়, যার নং-১২-২৩-০৬-২০ইং। আসামীদের শিকারোক্তির মাধ্যমে জানা যায়, তারা ঢাকায় একব্যক্তি নিকট ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ০১ লক্ষ জাল সংগ্রহ করে এবং গ্রামে-গঞ্জে ভীড় জমানো অবস্থায় দোকানদারদের কাছে এসব জালনোট ভেঙ্গে আসল নোট সংগ্রহ করে তারা। 

এছাড়াও গ্রেফতারকৃতরা জালনোট তৈরির সদস্য এবং ঈদুল আযহায় বিভিন্ন বাজার টার্গেট ছিলো তাদের। জালনোট তৈরি ও বিক্রি করাসহ ছড়িয়ে দেয়ার কাজে জড়িত বলে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছে তারা। 

আসামীদের স্বীকারোক্তি জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান। 

এসময় প্রেস রিলিজে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান আতিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রুহুল আমিন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার  (ডোমার সার্কের) জয়ব্রত পাল ও ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ