গাইবান্ধায় ভূয়া ডিআইজি মাসুদ গ্রেফতার

আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধা জেলা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরের পশ্চিম চৌরাস্তা মোড় এলাকা থেকে ২২ জুন সোমবার রাতে পুলিশের ভূয়া ডিআইজি পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মাসুদ সরকার (২৮) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। 

মাসুদ সরকার ওই উপজেলার চকরহিমাপুর মধ্যপাড়া এলাকার মজিদ সরকার ছেলে। গোবিন্দগঞ্জ থানা সুত্রে জানা গেছে, মাসুদ সরকার কখনও পুলিশের ডিআইজি, কখনও সেনা বাহিনীর কর্মকর্তা, আবার কখনও নারী নেত্রী পরিচয় দিয়ে কণ্ঠ নকল করে প্রতারণা করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। 

গ্রেফতারকৃত ভুয়া ডিআইজি মাসুদ গত ১৪ জুন রাতে তার প্রতিবেশি সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেনের কণ্ঠ নকল করে জাকিরের মামিকে ফোন করে বলে, ‘মামি আমি জাকির, সৌদি পুলিশের কাছে ধরা পড়েছি, মাকে ফোনটা দেন। পরে মাকে বলে ১০ মিনিটের মধ্যে ৩০ হাজার টাকা বিকাশে না দিলে সৌদি পুলিশ আমাকে জেলে ঢোকাবে। 

এই ফোন পেয়ে জাকিরের স্বজনরা তার দেয়া বিকাশ নম্বরে দুই বারে মোট ২৫ হাজার টাকা পাঠায়। এর কিছুক্ষণ পর পুনরায় জাকির ফোন করে কান্নাকাটি করে এবং আরও ১৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে বলে। 

আবারো জাকিরের স্বজনরা ১৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। পরে টাকা পাঠানোর আগে ওই নম্বরে ফোন দেয়। কিন্তু ফোন নম্বরটি বন্ধ পায়। এতে তাদের সন্দেহ হয়। 

বিষয়টি জাকিরের বাবা থানায় এসে পুলিশকে অবহিত করে। থানা পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিশ্চিত হয় এটি প্রতারক মাসুদ সরকারের ব্যবহৃত ফোন নম্বর। কিন্তু মোবাইল ফোনের সিমটি তার নামে রেজিস্টেশন করা নাই। 

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে আরও অবগত হয় মাসুদ তার সহযোগী একই গ্রামের তুহিন মিয়াসহ কতিপয় সিম বিক্রয়কারীর সহায়তায় এই সব মোবাইল ফোনের সিম সংগ্রহ করে। 

আবার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মোবাইল ফোন নম্বরও ক্লোন করে এইসব প্রতারণা করে। এছাড়াও এসব ঘটনার পরেও গত ১৯ জুন মাসুদ নিজেকে পুলিশ হেডকোয়ার্টাস এর ডিআইজি পরিচয় দিয়ে তার নিজের মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে থানায় তদবির করে। 

গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করে থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান জানান,গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে  থানায় একটি নতুন মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে  বিজ্ঞ আদালতে আরও ছয়টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ