সামাজিক দূরত্ব মেনে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করতে বলায় কলেজ শিক্ষার্থীকে মারপিট ও মামলা পিতার সংবাদ সম্মেলন

মিজানুর রহমান মিলন, স্টাফ রিপোর্টারঃ 
সৈয়দপুরে একটি এনজিও’র এক স্বেচ্ছাসেবককে ভীড় না করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সুরক্ষা সামগ্রী (সাবান ও মাস্ক) বিতরণ করতে বলায় এক শিক্ষার্থীকে বেদম মারপিট করে টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

এ ঘটনায় ওই স্বেচ্ছাসেবকের দেয়া মামলা গ্রহণ করলেও ওই শিক্ষার্থীর বাবা তার ছেলেকে মারপিটসহ অন্য অভিযোগে এনজিও'র স্বেচ্ছাসেবকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে সৈয়দপুর থানা পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করা হয়। 

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা মো. মানিক মিয়া সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযোগ করেন। শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত একটি পরিবহন শ্রমিক কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীর বাবা মো. মানিক মিয়া বলেন, সৈয়দপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসকেএস ফাউন্ডেশনের কিছু লোকজন গত ১০ জুন বেলা দেড়টার দিকে শহরের পুরাতন বাবুপাড়া অফিসার্স কলোনী এলাকার বাসিন্দা মানিক মিয়ার বাসার দরজার সামনে জটলা বেঁধে সুরক্ষা সামগ্রী (সাবান ও মাস্ক) বিতরণ করছিলেন। 

এ সময় তার ছেলে দিনাজপুর সরকারি কলেজের অনার্স ক্লাসের শিক্ষার্থী মো. রাশেদ শাহরিয়ার রেজা এনজিওর লোকজনকে সামাজিক দূরত্ব মেনে ফাঁকা জায়গায় গিয়ে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করতে বলেন। 

আর এতে এসকেএস ফাউন্ডেশনের লোকজন  ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং কলেজ শিক্ষার্থী রাশেদ শাহরিয়ার রেজার সঙ্গে প্রথমে বাকবিতন্ডা জড়ায়। এরপর তার ওপর চড়াও হয় তারা। এসময় এনজিও'র স্বেচ্ছাসেবকদের হামলায় রেজা মারাত্নক আহত হয়। 

ওই হামলার সময় রেজার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও পকেটে থাকা মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। পরবর্তীতে স্থানীয় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর 

এ বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসার কথা থাকলেও তা মানেনি এসকেএস ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা। উল্টো তারা ওই দিনের সামান্য ঘটনার বিষয়টি অতিরঞ্জিত করে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তার ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী রেজার বিরুদ্ধে। 

এস.কে ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক মো. মনিরুজ্জামানের দায়েরকৃত মামলায় শিক্ষার্থীর রেজার বিরুদ্ধে এনজিওর সাবান ও মাস্ক ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।


সৈয়দপুর থানায় শিক্ষার্থী রেজার বিরুদ্ধে গত ১১জুন মিথ্যে ঘটনা নিয়ে একটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী রেজার বাবা মানিক মিয়া তার ছেলেকে মারপিট করে আহতসহ মোবাইল ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় এনজিও'র স্বেচ্ছাসেবক মনিরুজ্জামান মিলনসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দিতে গেলে সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ না করায় সৈয়দপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় । 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার দেয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করতে থানা পুলিশের কাছে দাবি জানান।সংবাদ সম্মেলন অন্যদের মধ্যে নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মমতাজ আলী ও দপ্তর সম্পাদক এফাজ উদ্দিন সরকার এলাকাবাসি ছাড়াও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ