মিজানুর
রহমান মিলন স্টাফ
রিপোর্টারঃ গতকাল
সোমবার নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় নতুন করে আরো পাঁচজনের করোনা সংক্রমণ
শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গতকাল
সোমবার পর্যন্ত সৈয়দপুর
উপজেলা করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩ জনে। এদের
মধ্যে রিপোর্ট আসার আগেই রোববার বিকেলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সৈয়দপুর
থানা পুলিশ তিনজনকে সৈয়দপুর ১০০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও অপর একজনকে
বগুড়া পুলিশের মাধ্যমে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সুত্র জানায়, সৈয়দপুর
উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলী মুন্সিপাড়া এলাকার আদম আলীর পুত্র উজ্জ্বল ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতো। সে ঢাকা থেকে
করোনা আক্রান্ত হয়ে সৈয়দপুরে আসে গত ২৪ মে।
পরদিন তাঁকে চিকিৎসার জন্য সৈয়দপুর ১০০শয্যা হাসপাতলের
আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে গত ২৯ মে
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁর বাবা আদম আলী (৬৫) ও মা পারুল
বেগমের (৫৫) নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম এ রহিম মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া
গত ২৮ মে সৈয়দপুর
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স
এর কুক খতিব উদ্দিন (৪৫) ও সৈয়দপুর মা
ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের পিয়ন কাম চৌকিদার জাফরের (৪৮) নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম এ রহিম
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল
সোমবার তাদের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজিটিভ আসে। ফলে
স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত খান ও অফিসার ইনচার্জ
(তদন্ত) আতাউর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলী মুন্সিপাড়া এলাকার বাসিন্দা আদম আলী ও তাঁর স্ত্রী
পারুল বেগম এবং সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের কুক খতিব উদ্দিনকে এ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশন বিভাগে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। অপরদিকে সৈয়দপুর মা ও শিশু
কল্যাণ কেন্দ্রের পিয়ন কাম চৌকিদার মো. জাফরের করোনা সংক্রান্ত বিষয়টি তার বার্তায় ডিএসবি বগুড়া জেলার ডিআইও -১ কে জানালে
বগুড়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় জাফরকে তাঁর বগুড়া শহরের বাসা থেকে নিয়ে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। একই সাথে করোনা আক্রান্ত জাফরের পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। সৈয়দপুর
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ মে
১৮ জনের এবং ২৯
মে ১২ জনেরসহ সর্বমোট
৩০ জন ব্যক্তির শরীর
থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংগৃহিত নমুনা পরীক্ষার জন্য নীলফামারী সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে দিনাজপুর এম. এ. রহিম মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল সোমবার উল্লিখিত সংখ্যক নমুনা পরীক্ষার ফলাফল মিলেছে। এতে উল্লিখিত চারজনসহ শহরের নয়াটোলা এলাকার শহিদুজ্জামান সাঈদের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। তবে
রিপোর্ট আসার আগেই গত
রোববার তিনি মারা যান। সৈয়দপুর
সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল থানা পুলিশ কর্তৃক করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রসঙ্গতঃ
সৈয়দপুরে করোনা সংক্রমণ ২৩ ব্যক্তির মধ্যে
১৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদের মধ্যে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চারজন, বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে একজন এবং নয় জন নীলফামারী
আধুনিক সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোববার বিকেলে শহিদুজ্জামান সাঈদ নামে একজন স্বর্ন ব্যবসায়ী মারা গেছেন। বাকি আট জন সুস্থ
হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানা যায়।
সৈয়দপুর
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা
কর্মকর্তা ডা. আবু
মো. আলেমুল বাসার উপজেলায় নতুন করে আরো পাঁচ ব্যক্তির করোনা পজিটিভের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, করোনা পজিটিভ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের
আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ