ডিমলায় ৮০ লাখ টাকার চাল পাচার, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

জাহাঙ্গীর রেজাস্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে চাল পাচারের ঘটনায় পলাতক খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) হিমাংসু কুমার রায়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ডিমলা থানায় তার বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতে একটি মামলা গুদামের চাবি সহ পলাতক থাকায় আরেকটি সাধারন ডায়রি করা হয়। মঙ্গলবার (-জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ডিসিফুড) সাইফুদ্দিন অভি জানান যে, গুদামে চাল কম পাওয়া যায় এবং তা সিলগালা করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায় ২০১৯ সালের ১৪ জুন হিমাংসু কুমার রায় নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) হিসাবে যোগদান করে। এখানে যোগদানের আগে তিনি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ি খাদ্যগুদামে কর্মরত ছিলেন। সেখানেও তার বিরুদ্ধে সরকারি খাদ্য শষ্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

সুত্রমতে তিনি যোগদানের পরপরেই বেশ কিছু অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে জেলা খাদ্য বিভাগ একটি তদন্ত টিম গঠন করে। উক্ত তদন্ত টিম সম্প্রতি তদন্ত শুরু করলে গুদামে ১৮৯ মেট্রিকটন ২৭০ কেজি চাল কম দেখতে পায়। যার সরকারি অর্থনীতিতে মুল্য ৮০ লাখ টাকার উপরে। গতকাল সোমবার সকালে আরসিফুড, ডিসি ফুড তদন্তটিম পুনরায় ডিমলা সরকারি খাদ্যগুদামে গেলে উক্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) হিমাংসু কুমার রায় তার মোবাইল বন্ধ করে পালিয়ে যায়। তাকে খাদ্যগুদামে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলে দিনভর। কিন্তু কোনভাবেই তার অবস্থান জানা যাচ্ছিলনা। এমন কি তার বাড়ি লালমনিরহাটের কালিগঞ্জেও সন্ধান চালানো হয়। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ডিসিফুড) সাইফুদ্দিন অভি জানান, ঘটনায় ডিমলা থানায় একটি মামলা নং , তারিখ- -জুন-২০২০ ইং একটি জিডি দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এদিকে বিভিন্ন সুত্র জানায় ডিমলা উপজেলা সরকারী খাদগুদাম ঘিরে একটি বিশাল প্রভাবশালী চক্র রয়েছে। বিগত সময়ে ওই চক্রটি নিয়ন্ত্রন করতো ভেতর বাহির। একাধিক সুত্র জানায় সুষ্ঠ তদন্ত হলে উক্ত গুদাম কর্মকর্তা সহ একটি প্রভাবশালী চক্র ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা বেরিয়ে পড়বে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ