লকডাউনে পবিত্র ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের নিয়মঃ-মাওলানা আবুল কাশেম আল রাহেভান্ডারী

মোহাম্মদ হায়দার আলী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
জেনে রাখা দরকার : ঈদুল ফিতরের সালাতের কাযা হয়না (হানাফী ও মালেকী)। তবে কাযা আদায় করা জায়েয (হান্বালী)। এটি কাযা করতে হবে (মালেকী) এবং জোহরের আযানের পূর্বে কাযা আদায় করা মুস্তাহাব (উত্তম)(শাফেয়ী); এটি আদায় না করলে গোনাহগার হবেনা; কারণ এটি জায়েজ বা মুস্তাহাব পর্য়ায়ের (হানাফী ও মালেকী। যেভাবে আদায় করা জায়েযঃ-

১। ঘরে জামাতে আদায় করা; যেভাবে ইমাম সাহেব আদায় করে থাকেন (খুতবা ছাড়া)। সূত্র : (ইমাম বায়হাকী নিজ সনদে বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ও মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ইত্যাদি। এ প্রসঙ্গে ইমাম ইবনুল হাজর আসকালানী বলেন, তিনি হযরত আনাস রা: বসরার নিকটবর্তী একটি গ্রামে অধিকাংশ সময় থাকতেন বলেই জামাতে আদায় করেছিলেন। সূত্র : (ফতহুল বারী শরহে সহীহুল বুখারী)

২। যেভাবে মসজিদে ইমাম সাহেব (অতিরিক্ত ছয় তাকবিরের সাথে) জামাতে আদায় করে থাকেন অনুরূপ ঘরে (খুতবা ছাড়া) ঈদুল ফিতরের নামাযের নিয়তে একাকী আদায় করবেন। সূত্র : (বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বাসারীর হাদিস দ্বারা দলীল দিয়েছেন ইমাম মালেকী, শাফেয়ী ও ইব্রাহীম নাখয়ী ইত্যাদি )। 

৩। এভাবে সম্ভব না হলে এক নিয়তে বা দুই নিয়তে চার রাকাত নফল হিসেবে আদায় করবেন। সূত্র : (হযরত আলী (রাঃ, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, (আল মুগনী কৃত আব্দুল্লাহ ইবনে কুদ্দামা (২৮৯/২)
৪। তাও অসম্ভব হলে শুধু দুই রাকাত নফল হিসেবে আদায় করবেন। (ইমাম আউযায়ী) 

মুদ্দাকথা : উপরোল্লেখিত ২, ৩ ও ৪নং এর যে কোন নিয়মে আদায় করা জায়েয (বৈধ)। তবে ৩ নং নিয়মটিই অধিক গ্রহণযোগ্য কারণ ‘মধ্যম পন্থাই সর্বোত্তম’ যা বর্তমান ওলামায়ে কেরামগণ মত পেশ করেছেন। তবে না করলে গুনাহগার হবে না। কারণ এটির কাযা আদায় করা নফল নামায পড়ার মত। তবে তাক্বওয়ার দাবী হলো আদায় করা। (আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ