বিলুপ্তির পথে যাওয়া কাউনের বাম্পার ফলন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে


মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ সদর উপজেলার  যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার অনেক স্থানেই বছর কাউনের বাম্পার ফলন হয়েছে। জন্যই কৃষকরা সফলতার স্বপ্ন দেখছেন। তবে কাউন চাষ অন্যান্য অঞ্চলে বিলুপ্তির পথে গেলেও এখনো কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক ভাবে কাউন চাষ করতে দেখা যাচ্ছে। কম পরিশ্রমে কাউন চাষে লাভ বেশি, কারণেই চরাঞ্চলের কৃষকেরা ঝুঁকছেন কাউন চাষে। কাউন চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাউন চাষে  বিঘা প্রতি ব্যয় হয় থেকে আড়াই হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে কাউন উৎপাদন হয় ১০-১১ মণ। প্রতি মণ কাউন বাজারে বিক্রি হয় ১২০০-১৪০০শ টাকা। চরের একটি পরিবার ১৫-২০ বিঘা পর্যন্ত কাউনের চাষ করে থাকে। চরাঞ্চলের মানুষজন ভাতের বিকল্প হিসেবে কাউনের চাউল রান্না করে খায়। এছাড়া কাউনের চাউল দিয়ে পিঠা, পায়েস মলাসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরি করে। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সুত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলায় কাউনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ  ছিল না। তবে আবাদ হয়েছে ৪শ ৭০ হেক্টর জমিতে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর গ্রামের কাউন চাষী মোঃ বক্তার বলেন, আমাদের এই চরাঞ্চলে অন্য কোন আবাদ ভালো হয় না। কাউনের আবাদ খুব ভালো হয়। কারণে আমরা কাউনের আবাদ করি খরচও কম লাভও বেশি। চর যাত্রাপুর গ্রামের আরেক কাউন চাষী মোঃ আব্দুর করিম  জানান, আমরা চরের মানুষ শুধু কাউনে চাষ করি। নিজেও খাই বাজারে বিক্রি করে সংসারে ব্যয় বহন করি। আমার বাপ-দাদারাও কাউনের আবাদ করে আসছিল আমরাও করছি। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের, উপ-পরিচালক. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে কৃষকদের ধানে ঠিক মতো দেখতে পারছি না। আর কাউন তো চরাঞ্চলে বেশি হয়। আগে ধানটা ঘরে উঠানোর দরকার তাই না। ভাবে এখনো কাউন দেখা হয়নি বলে তিনি জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ