অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে কল্লোল ফাউন্ডেশন

জালাল উদ্দিন, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
করোনা পরিস্থিতির সময়ে সমাজের অসহায় দরিদ্র কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন অরাজনৈতিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন কল্লোল ফাউন্ডেশন। প্রায় বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি অসহায় মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির প্রথম থেকেই ফাউন্ডেশন বিভিন্নমুখি কাজ করছে। গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে অসহায় মানুষগুলোর বাড়ি গিয়ে চাল, ডাল, আলু, লবন সাবান বিতরণ করা হচ্ছে। দুই উপজেলার হাজার মানুষের মাঝে প্রর্যায়ক্রমে ওই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ চলবে।
মূলত দুঃস্থ অসহায় মানুষের সেবা, সমাজের পিছিয়ে পড়া লোকদের সামনের দিকে এগিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রথমে গুরুদাসপুর এবং পরবর্তী সময়ে বড়াইগ্রাম উপজেলায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি এ্যাড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি। তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। রাজনীতির পাশাপাশি মানবসেবার জন্যই কল্লোল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
মুক্তি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মোতাবেক কল্লোল ফাউন্ডেশন বিভিন্ন মুখিকাজ করছে। দুই উপজেলায় জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম করা প্রতিদিন চলছে। সেই সাথে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন। তার সেই আহবানে সাড়া দিয়ে কল্লোল ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে পর্যায়ক্রমে দুই উপজেলায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলছে-চলবে। করোনা পরিস্থিতির এই কঠিন সময়ে সমাজের বিত্তবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।
দাতা সদস্য আসিফ আব্দুলাহ বিন কুদ্দুস শোভন বলেন, মূলত সমাজের পিছিয়ে পড়া অসহায় মানুষগুলোর জন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। স্বীকৃতি জন্য আমরা কাজ করি না। অসহায় মানুষগুলো কষ্ট থেকে মুক্তি পেলেই আমাদের স্বার্থকতা।  কল্লোল নাটোর- আসনের সাংসদ এবং নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন। আব্দুল কুদ্দুস মুক্তিযুদ্ধেরও অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তার স্মৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতেই ২০১২ সালে ওই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ