ঐতিহ্যবাহী রুমালিয়ারছড়া ছড়াটি দখলে নিতে মরিয়া ভূমিদস্যু নজরুল

এন আলম আজাদঃ
কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়ার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছড়াটি দখল করে ভরাট করা হচ্ছে। এ ছড়ার বিভিন্ন স্থানে দখল করে ঘর বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। কিছু স্থাপনার নির্মাণকাজ এখনো চলছে। ছড়াটি ভরাট করার কারণে শহরে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

কক্সবাজার পৌরসভা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাঁকখালী নদীর দক্ষিণ তীরে পর্যটন শহর কক্সবাজার অবস্থিত। এ নদী থেকে ঐ ছড়াটি শহরের রুমালিয়ারছড়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বাঁকখালী নদীর সাথে সংযুক্ত এ ছড়াটি রুমালিয়ারছড়া হয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানের দিকে প্রবাহিত হয়েছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার মৃত ছাবের আহমেদের পুত্র জনৈক নজরুল নামের এক ভূমিদস্যু ছড়ায় জেগে উঠা ছড়টি সহ ছড়ার কিছু অংশ ভরাট করে বহুতল বাড়ী নির্মাণের উদ্দেশ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ যেখানে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ৩০ ফুট প্রসস্ত রেখে ছড়ার উভয় পাড়ে বিপুল অর্থ ব্যয়ে দেওয়াল নির্মাণে কাজ চলমান। সাহিত্যিকা পল্লীতে বসবাসরত এই জনৈক নজরুল তার প্রভাব খাটিয়ে বোলডোজার দ্বারা ঐ ছড়ার কিছু অংশ ভরাট কাজ অব্যাহত রেখেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ভাবে বসবাসকারী কিছু লোক সচেতন নাগরিক জানান, এই বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র বরাবর মৌখিক ও লিখিত ভাবে অভিযোগ করলে পৌরসভায় কর্মরত সার্ভেয়ার মান্নান এর নির্দেশে পৌরসভায় কর্মরত রিদুয়ান নামের এক ব্যক্তি গত ২ অক্টোবর সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। ঘটনার সত্যতা দেখে রিদুয়ান ঐ ভূমিদস্যুকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করেন। এছাড়াও আগামী রোববার ৬ অক্টোবর পৌরসভার কার্যালয়ে নজুরলকে স্বশরীরে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য বলেন। এরপরেও ঐ ভূমিদস্যু অবৈধ ভাবে তার ভরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয়রা। যেখানে সরকারী নির্দেশ মোতাবেক কোন ছড়া, খাল, নালা, নর্দমা, নদী ভরাট করা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ, সেখানে এই ভূমিদস্যু নজরুল অনায়েসে চালিয়ে যাচ্ছে তার এই অবৈধ কর্মকাণ্ড।

এ ব্যাপারে ভূমিদস্য নজরুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ