বাজারঘাটায় নালা দখল করে দোকান ও রাস্তা বন্ধ করে বেপরোয়া শফি উল্লাহ সিন্ডিকেট!

 


নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজার শহরের পূর্ব বাজারঘাটায় এলাকায় বনানী কমপ্লেক্সের নিচে কক্সবজার পৌরসভার দীর্ঘদিনের পানি নিষ্কাশনের নালা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ ও ভবনের লোকজনের রাস্তা বন্ধ করে চরম বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে মৃত সুলতান আহমদের স্ত্রীসহ ছেলে শফি উল্লাহ সিন্ডিকেট। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় মাহফিলেও ইট রেখে বাঁধাপ্রধান করেছে তারা। গত ২২ ফেব্রয়ারী শফিউল্লাহের নেতৃত্বে বনানীর স্বত্বাধিকারী হাজী আলী আহমেদকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। তিনি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়ছেন। এই ঘটনায় ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি  অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানাগেছে। 


ভুক্তভোগী হাজী আলী আহমদের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, 

 পূর্ব বাজারঘাটাই বনানী কমপ্লেক্সের শফিউল্লাহ গং পৈত্রিক ওয়ারিশী হয়। আমাদের পিতার মৃত্যুর পর হতে আমরা উক্ত বনানী কমপ্লেক্স শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। উক্ত কমপ্লেক্টোর ৬ষ্ট তলার একটি রুমে আমার ভাই অলি আহমদ একটি হেফজখানা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করে।  


আমার ভাবী ও ভাইপো অত্র কমপ্লেক্সের নীচতলার চলাচলের রাস্তার উপর আসামীগন কিছু ভাঙ্গা ইট যত্রযত্রভাবে রাখে। এতিমখানার পক্ষ থেকে এই বছরও ওয়াজ মাহফিল করার শুন্য প্রস্তুতি নিলে আমি গত ২২ ফেব্রয়ারী

 সকাল ১০ টায় আমি নীচ তলার চলাচলের রাস্তার উপর তারা যত্রযত্র ভাবে রাখা ইট বস্তা ভরে এক পার্শ্বে সরানোর চেষ্টা করলে 

শফি উল্লাহ গং তার মাসহ একযোগে এসে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।


আমি তাহাদেরকে মাহফিলের সৌন্দর্য রক্ষার্থে ইট সরানোর কথা বললে তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ করে। ওই সময় শফি উল্লাহ 

  ইট হাতে নিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে আমার মাথা লক্ষ করে ছুড়ে মারলে উক্ত ইট লক্ষাভ্রষ্ট হয়া আমার ডান পায়ের হাঁটুর নীচে পড়ে মারাত্মক রক্তাক্ত ফুলা জখম হয়। 


অপর দিকে তার মা

আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে চাবাল নিয়া মাথা লক্ষ্য করে সজোরে আঘাত করে আমার ভাই অলি আহমদ ধরে ফেলার চেষ্টায় উক্ত চাবাল আমার ডান পায়ে পড়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। ওই সময় 

 শোর চিৎকারে ভাই অলি আহমদ,স্থানীয় মোবারক হোসাইন,হেলাল উদ্দিন 

 সৈয়দ আকবরসহ আরো লোকজন উপস্থিত হলে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। 


তিনি আরো জানান, 

আমার ছোট ভাই মোক্তার আহমদ এর নিকট হতে আমরা অপর তিন ভাই ১২ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছি।

 এ ব্যাপারে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়রের নিকট বিচার দিলে মেয়র ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ করে আমাদের দুই ভাইয়ের পাওনা ৮লক্ষ টাকা পরিশোধ করার জন্য সালিশী রোয়েদাদ প্রচার করেন। কিন্তু তারা উক্ত মোক্তার আহমদ এর নিকট হতে আমাদের পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্য গোপনে সুকৌশলে মোক্তার আহমদ এর অংশ নিজে খরিদ করেন এবং আমাদের পাওনা টাকা তাদেরকে পরিশোধ করার জন্য বললে  টাকা না দিতে এইসব হচ্ছে বড় ষড়যন্ত্র।

এইসব ষড়যন্ত্রকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশসুপার,পৌরসভার মেয়র, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এই বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম মুকুল,জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি,ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রেইনের উপর দোকান নির্মাণ করেছে,একই সাথে রাস্তা প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে কি করা যায় সেটি দেখছি।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ