সাহসী পরউপকারী ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান মুন্না

সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হওয়া আমার এক বন্ধু জাহাঙ্গীরকে দেখে কক্সবাজার শহরের দিকে আসছিলাম হঠাৎ দেখি হিমছড়ি মেরিং ড্রাইভ রোড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবক আমার বাইকের সামনে এসে সিগন্যাল দেয়, আমি আসার আগে অনেক জনকেই সিগন্যাল দিয়েছিলো কিন্তু কেউ দাঁড়ায়নি কারণ যায়গা টি ডাকাত প্রবণ এলাকা একসময় প্রচুর ডাকাতি হত। আমি তার অবস্থা দেখে দাঁড়ালাম। বল্লাম কি হয়েছে আপনার সে বল্ল ভাই আমার টাকা সিএনজি চালক টা নিয়ে যাচ্ছে, আমি বল্লাম কত টাকা সে বল্ল ২,৫০,০০০ লক্ষ টাকা। সেই যুবকটির নাম নজরুল বাসা ইনানী। সে কক্সবাজার থেকে টাকা নিয়ে সিএনজি করে তার বাসায় যাই গাড়ি থেকে নেমে ভাড়া দিয়ে চলে যাই কিন্তু টাকা নিতে ভুলে যাই। কিছুক্ষণ পর মনে পড়লো টাকার কথা, দৌড়ে এসে দেখে সিএনজি টি চলে গেছে। সে সাথে সাথেই তার ডিসকভার গাড়িটি নিয়ে সিএনজির পিছু নেই কিন্তু সে কিছুদূর যাওয়ার পর বৃষ্টির কারণে রাস্তা পিচ্ছিল ছিলো হঠাৎ এক্সিডেন্ট করে মাটিতে পরে যাই আর বাইকটি নষ্ট হয়ে যায় যুবকটি শরীরের বিভিন্ন যায়গায় হতাহত হয়ে রক্তাক্ত হয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পর আমার সাথে দেখা, তাকে আমার বাইকে নিয়ে সিএনজিটি ধরার জন্য ৯০-১০০ তে গাড়ি রাইড করে কলাতলী মোড়ে এসে, কলাতলী মোড় সিএনজি কমিটির সভাপতি ও জাতীয় শ্রমিকলীগ ১২ নং ওয়ার্ড শাখার (সভাপতি) আবু ছৈয়দ হিরু ভাইকে ফোন দিলাম সাথে সাথে তিনি এসে সিরিল নাম্বার খুজেঁ বের করলাম, সিএনজি চালক'কে ফোন করে টাকা থাকার কথা নিশ্চিত হলাম এবং তাকে তাৎক্ষণিক কলাতলী মোড়ে আসতে বলা হল কিছুক্ষণ পরে সেই সিএনজি চালক আসলে টাকার প্রকৃত মালিক জাহাঙ্গীর ও তার বড় ভাইকে টাকা গুলো বুঝিয়ে দিলাম। সাথে ছিলো হিরু ভাই ও লিয়াকত .... মানুষ মানুষের জন্য। বিপদ কম বেশি সবারই আসে। তাই একজনের বিপদে আরেক জন এগিয়ে আসুন। টাকার চেয়ে জীবন মূল্য অনেক বেশি। টাকা কামাইলে পাওয়া যাবে কিন্তু জীবন পাওয়া যাবেনা। একটুর জন্য যুবকটির জীবনও যেতে পারতো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ