প্রতারণার টাকায় আবুল কাশেম বাবুলের বিলাসিতাময় জীবনযাপন।

সুপরিকল্পিতভাবে প্রতারণার জাল বিছিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা ধার নিয়ে ফেরত না দিয়ে, বিলাসিতায় জীবন কাটাচ্ছে জালিয়া পালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মধ্যম পাইন্যাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা মীর আহমদ মাষ্টারের বড় ছেলে আবুল কাশেম বাবুল। তিনি তার প্রতিষ্ঠান মেসার্স এইচ আর ট্রেডার্সের, লাইসেন্স নং এলজিইডি/কক্স ৩৫, বই নং ৫৫১২১, টিন নং ১৪৫৯৩১৬৯০৯৪৮ এর অধীনে বিভিন্ন সরকারী অফিস ও এনজিও থেকে প্রাপ্ত (ভুয়া) কাজের আদেশ দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

 কিন্তু ধারের টাকা নির্দিষ্ট সময়ে মানুষকে আর ফেরত দেয় না। মানুষ তার কাছে টাকা চাইতে গেলে নতুন নতুন সময় নিতে থাকে এবং কালক্ষেপণ করে। কোন প্রকার টাকা ধার পরিশোধ করে না। 

কেউ টাকার জন্য চাপাচাপি করলে সে তাদেরকে দলীয় ক্ষমতা ও তার ভাইয়ের (ফটিকছড়ি থানার পুলিশের এসআই) ভয় দেখায় এবং বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে। জানা যায় তিনি জালিয়াপালং ইউনিয়নের অনেকের কাছ থেকে এভাবে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে রাত্রিযাপন করে।

 তার প্রতারণায় এলাকার সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেয়েছে। বিভিন্ন ভোক্তভোগীর সাথে ফোন আলাপে জানা যায় প্রতারক আবুল কাশেম বাবুল দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারণা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এনজিও এর নির্বাহী পরিচালক জানান, একবছর আগে বাবুল ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ধার নেয়, অনেক খোঁজাখুজি ও পরিবারকে বারবার জানানোর পর সে বিভিন্ন দফায় মাত্র ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে। বাকী টাকা চাইতে গেলে আরো উল্টোপাল্টা কথা বলে।

 উক্ত পরিচালক আরো জানান যে, বাবুল তার নিজ এলাকায় আরো বিভিন্নজন থেকে ১লক্ষ, ২ লক্ষ, ৬ লক্ষ, কারো কাছ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টাকা ধার নেয়। তার নিজ ওয়ার্ডের (১নং) বর্তমান মেম্বার মোহাম্মদ হোসাইনের মোবাইল ভয়েস রেকর্ড থেকে জানা যায়, আবুল কাশেম বাবুল মেম্বার থেকে ৬ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে আর পরিশোধ করেনি। সোনারপাড়ার একজন তার থেকে ১৩ লক্ষ টাকা এবং রতœা পালং ইউনিয়নের আইয়ুব খন্দকারের ছোট ভাই সোহেল থেকে নিয়েছে ৬ লক্ষ টাকা। তাছাড়া কক্সবাজার পৌরসভার মোহাম্মদ শহীদ এর কাছে তার প্রদারকৃত ৩০ লক্ষ টাকার চেক আছে বলে জানা যায়। উক্ত পাওনা টাকার বিষয়ে পাওনাদারেরা আবুল কাশেম বাবুলের বাবা মীর আহমদ মাষ্টার ও তার ছোট ভাই মোহাম্মদ শাহাজাহান (জায়গার দালাল) বিভিন্ন সময় বৈঠকে বসে। 

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও, টাকা পরিশোধের সময় আসলে বিভিন্ন কথা বলে কালক্ষেণ করে এবং মোবাইল বন্ধ রাখে, টাকা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানায় এবং উল্টাপাল্টা কথা বলে মোবাইল কেটে দেয়। এই বিষয়ে আবুল কাশেম বাবুলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।

এই ধরণের প্রতারকের শিকড় উপড়ে ফেলার জন্য সাধারণ মানুষ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছে। সাধারণ মানুষ এই ধরণের প্রতারকের হাত থেকে বাঁচতে চায়। এই ধরণের প্রতারককে অতিদ্রুত বিচারের আওতায় এনে অসহায় ভোক্তভোগি মানুষের টাকা উদ্ধার করে দেওয়ার পাশাপাশি আর কোন মানুষ যাতে তার প্রতারণার জালে পা দিতে না পারে সেজন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করারও অনুরোধ জানায় ভোক্তভোগীরা।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ