পরিকল্পিত বার্তা রিপোর্টঃ
পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল জোনে কিছু হোটেল মালিক থেকে কক্ষ ভাড়া নিয়ে ব্যাঙের ছাতার মত স্পা সেন্টার গর্জে উঠেছে তরুণীদের দিয়ে বডি ম্যাসেজের নামে ভয়াবহ দেহ ব্যবসায় নেমেছে এমন অভিযোগ সচেতন মহলের। স্পা থেরাপি সেন্টার নাম দিলেও কারো অনুমোদন নেই। স্পা মালিকের কাছে পৌরসভার একটি ট্রেড লাইসেন্স তাদের মূল সম্পদ। এইসব অবৈধ স্পা সেন্টার গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সচেতন মহল দাবি এখানে উঠতি পা তুলছেন।খোঁজ নিয়ে জানাযায়, কাতলি হোটেল মোটেল জোনে প্রায় ২২টি নামে বেনামে স্পা সেন্টার গড়ে উঠেছে। সুগন্ধার পূর্ব পাশে সিলভিয়া রিসোর্টের দ্বিতীয় তলায় সাথীসহ যৌত মালিকানাধীন গোল্ডেন স্পা সেন্টার রয়েছে। সৈকত পাড়াবাসী ও স্থানীয় মসজিদ কমিটির সদস্যদের দাবি, রাস্তার উপর এইধরনের স্পা সেন্টার দেখতে আপত্তিকর, গোল্ডেন স্পাটি বন্ধ করতে এলাকাবাসী জোর দাবি তুলছেন। স্পা কর্মী সাথীর আরেকটি স্পা পরিচালনা করছে। রয়েছে সৈকত পাড়া কক্স অবকাশ হোটেলে লাক্সারি থাই স্পা জিনিয়া রিসোর্টে রয়েছে, বহু বিতর্কিত'স্পা কর্মী রিতার মালিকানাধীন স্মার্ট থাই স্পা, হোটেল হোয়াইট বীচে স্পা কর্মী জুলির মালিকানাধিন এভ্যালা টাচ থাই স্পা, লেগুনা বীচ হোটেলে অবস্থিত, আব্দুল গফুরের নিউ সেভেন এসকে থাই স্পা।এছাড়া হোটেল ওয়ান্ড বীচে কাশপিয়ার মালিকানাধীন, রিলোক্স থাই স্পা, এক সাথে রিয়ার ডিলাক্স থাই স্পা এখানে দুইটি রয়েছে। ডলফিন মোড়ের দক্ষিণ পাশে গ্রীণ রেস্টুরেন্টের উপরে সাজ্জাদের মালিকানাধীন এ্যরোমা থাই স্পা।
সুগন্ধা প্রধান সড়কে পাশে আলভা ওয়েভ আবাসিক প্ল্যাটে সুমনের চায়না রোজ স্পা, সাগর পাড়ে হোটেল সী প্রিন্সে, সী-প্রিন্সেস খাই স্পা, আইরিন নামে এক নারীর মালিকানাধিন দেলোয়ার প্যারাডাইসে রয়েছে কুইন থাই স্পা, স্পা কর্মী আইরিনের দুটি। হোটেল সি ওয়েলকাম এ সোহেলের মালিকানাধীন নিউ সেভেন ডোর থাই স্পা। এ ব্লক গনপূর্ত মাঠের পূর্ব পাশে জেসমিনের মালিকানাধীন রানী খাই স্পা, আলফা ওয়েভে সুমনের থাই মেলোডি স্পা, সাজুর মালিকানাধীন, কটেজ জোনে রু বে রিসোর্টে ব্ল্যাক রোজ খাই স্পা, হোটেল গ্রিন মেরিনা তে রয়েছে, জুলির মালিকানাধীন এঞ্জেল টাচ। বি ব্লক সুগন্ধা পয়েন্ট এ সানমুন খাই স্পা রিনার মালিকানাধীন।সচেতন মহল দাবি তুলছেন, বিভিন্ন প্রশাসনের কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও কিছু রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এ সমস্থ স্পা কেন্দ্র গুলো বিভিন্ন গেস্ট হাউস ও অভিজাত হোটেলে মাসিক রুম ভাড়া নিয়ে এ ব্যবসা,
যৌন উত্তেজক কলা কৌশলে সুন্দরী নারীরা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা । ধনাঢ্য পরিবারের ছেলেরা আর কিছু পর্যটক এবং এনজিওতে কাজ করা কর্মকর্তারা মূলত এদের গ্রাহক।ফুল বডি ম্যাসেজ ঘণ্টায় ২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত মূল্য নির্ধারন আছে। প্রতিটি স্পা কেন্দ্রে রাখাইনসহ ১০/১৫ জন সুন্দরী নারী থাকে। আপনি চাইলে সেখান থেকে যে কোন পছন্দ মত নারীকে নিয়ে ম্যাসেজ করাতে পারেন। সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব স্পা কেন্দ্রগুলো খোলা থাকে বলে জানান তারা।এদিকে দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করতে আর সামাজিক নৈতিকতাকে লুপ্ত করতে শুরু হয়েছে নতুন ব্যবসা যার নাম স্পা।
এই স্পা ব্যবসার আড়ালে যে হারে বেড়েছে যৌনতা ও দেহ ব্যবসা তার দিকে খেয়াল নেই অনেকরে এমন অভিযোগ সচেতন মহলের। নিবন্ধন বিহীন আর উচ্চ মূল্যের এ ব্যবসার কোন আয়কর ও ভ্যাট দিচ্ছেনা ওসব ব্যবসায়ীরা। শুধু নাম মাত্র বৈধ ব্যবসার নাম দিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে এ অসমাজিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কে পুঁজি করে দেশী বিদেশী পর্যটকদের ঘিরে গড়ে তুলেছে এ ম্যাসেজের নামে যৌনতা আর মুধু বিলাস।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হোটেল মোটেল জোনের অলিতে গলিতে এ স্পা গুলোর বিজ্ঞাপনের প্লে কার্ড শোভা পাচ্ছে। স্থানিয়রা জানান, শহরের হোটেল মোটেল জোন এলাকায় শুধু তাদের এ ব্যবসা। পর্যটন কেন্দ্রীক এ ব্যবসায় সুন্দরী নারীদের দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সুন্দরী নারীদের এনে আর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীরা এসব কাজে জড়িত বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। যদিও এগুলো পরিচালিত হচ্ছে নারীদের দিয়ে। কিন্তু পর্দার আড়ালে রয়েছে রাগব বোয়ালরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোটেল মোটেল জোনের অধিকাংশ লোকজন জানান, "স্পা নামক এ ব্যবসা হলো অভিজাত পতিতা ব্যবসা। বডি ম্যাসেজের নামে অবাদ যৌনতা। তারা ব্যবহার করে সুন্দরী নারীদের। এছাড়া সমান তালে চলে ইয়াবা কারবারও"। এ ব্যবসাগুলো বন্ধে প্রশাসনের নিয়মিত টহল জোরদারের দাবী জানান তাঁরা।এডভোকেট মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, "মুলতঃ স্পা ব্যবসার নামে
অভিজাত পতিতা ব্যবসা চলছে বলে আমিও শুনেছি। যুব সমাজকে রক্ষা করতে হলে এ ব্যবসা বন্ধ হওয়া উচিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য দাবী জানাচ্ছি, এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্যানাটারি ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আলম জানান, "যদি সরকার অনুমোদিত হলেও প্রত্যেক স্পা" কর্মী থেকে প্রতি সপ্তাহে স্বাস্থ্য পরিক্ষার সনদ দরকার। কক্সবাজারে এ পর্যন্ত কোন "স্পা" সেন্টার থেকে কেউ স্বাস্থ্য সনদ এর জন্য আসেনি”।এ বিষয়ে জানতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট(এডিএম) মোঃ ইয়ামিন হোসেন প্রতিবেদককে জানান, আমার কাছে স্পার কোন তালিকা নেই, কক্সবাজার পৌরসভার তাদের ট্রেডলাইসেন্স দিয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, আমার কাছে স্পা সেন্টারের তালিকা নেই। “অবৈধ স্পা সেন্টার গুলোর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে। খোঁজখবর নিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে"
0 মন্তব্যসমূহ