পরিকল্পিত বার্তা ডেস্কঃ
আমি শাহেনা আকতার পাখি কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর।
বিগত ২৫ জুলাই ২০১৮ সালে নির্বাচনে ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড থেকে বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হই। তখন থেকে জনগণের কল্যাণে আমার ছুটে চলা ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড দিনের মতো স্পষ্ট। শুধু জনপ্রতিনিধি হিসেবে নয়, একজন মানবিককর্মী হিসেবেও সারাক্ষণ মাঠে থাকি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিছিলের সারথি। রাজপথ ও রনাঙ্গণের বিশ্বস্ত কর্মী। পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। পারিবারিকভাবে রাজনীতি ও অর্থ-বিত্তে আমরা প্রতিষ্ঠিত।
একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার কর্ম, আচরণ, বিচরণ সবার জানাশোনা।
আমার পিতা দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি আমাদের শিরা উপশিরায় মিশে আছে। দেওয়ার জন্য রাজনীতি করি।
অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ করেছি, সম্প্রতি কয়েকজনের সোস্যাল মিডিয়াতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো হয়েছে। সেখানকার বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই। যা অনেকটা মানহানীর উদ্দেশ্যে লিখা।
আমি পৌরসভায় নিয়মিত অফিস করি। প্যানেল মেয়র হিসেবে অনেকে আমার সাক্ষর নিতে আসে। যাচাই বাছাই করে সাধ্যমতো সহযোগিতা দিই। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনারের সাক্ষর দেখেই আমি সত্যায়ন করি। সে রকম একটি সাক্ষরকে কেন্দ্র করে যেভাবে মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন তা খুবই দুঃখজন ও অনভিপ্রেত।
আমিও মানুষ, ভুলের উর্ধে নই। মানুষ হিসেবে ছোটখাটো ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক।
শতভাগ সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার মানসিকতা নিয়ে কাজ করি।
নাগরিকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেতে সহায়তা করা আমার সরকারি দায়িত্ব।
সম্প্রতি জনৈক ব্যক্তি পৌরসভার নাগরিক সেবামূলক কাগজপত্রে সাক্ষর নিতে আসে, যেখানে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সাক্ষর বিদ্যমান। সেই সাক্ষর দেখে আমিও সাক্ষর করেছি। তবে হলফ করে বলছি, রাষ্ট্র বিরোধী কোন কাজে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম না, ভবিষ্যতেও থাকব না।
পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের সুদক্ষ নেতৃত্ব আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। আমাদের কর্মে ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রী মহল নানাভাবে অপপ্রচার করছে, বিতর্ক ছড়াচ্ছে। তাতে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছুই নাই।
সকলের সহযোগিতা, পরামর্শ ও আন্তরিকতায় আজ আমার পথচলার এতদূর আসা। ভবিষ্যতেও সবাইকে সঙ্গে চাই। ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফিজ।
আপনাদেরই
শাহেনা আকতার পাখি।
0 মন্তব্যসমূহ