ইয়াবার আর্শিবাদে গাড়ির হেলপার থেকে কোটিপতি লেদার বোরহান

 


বার্তা পরিবেশক ঃ মাত্র কয়েক বছর আগেও  বোরহান উদ্দিন ছিল চাঁদের গাড়ি হেলপার রাতারাতি বদলে গেছে মুখোশ। হেলপার থেকে হয়ে যায় ৫ টনা পিকাপ ট্রাকের চালক, এই পিকাপ ট্রাকের জোগানে করে নিয়ে যেতো ইয়াবার বড় বড়  চালান এতেই নাম লেখান কোটি প্রতির খাতায়। এখন গড়ি,বাড়ি কোটি কোটি টাকা আর অঢেল সম্পদের মালিক বোরহান নামে এই যুবক। মাদকের একাধিক মামলা থাকলেও রহস্যজনক ভূমিকায় গ্রেফতার হচ্ছে না সে। 

টেকনাফে হ্নীলা লেদার এলাকার বোহান উদ্দিনসহ নতুন সিন্ডিকটে আবারও রমরমা ইয়াবা বাণিজ্য গড়ে তুলেছে।

বর্তমানে ইয়াবা বিরোধী অভিযান জোরদার না থাকায় নবীণ-প্রবীণ মিলে এই ব্যবসা আগের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারীরা সহজে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো ইয়াবা ব্যবসা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সম্পদ আর টাকার পাহাড় তার। কোন কিছু তোয়াক্কা করে না ইয়াবা ডন বোরহান। নামে বেনামে রয়েছে অনেক সম্পদ, লেদায় রয়েছে একটি আলিশান বাড়ি, তার পাশাপাশি জমিসহ টেকনাফ পৌরসভার রয়েছে ৪টি জমি, এছাড়া লেদা,জাদীমোরা, মরিচ্যা এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি ব্রিক ফিল্ড, সাথে রয়েছে কয়েক শতাধিক একর প্রতিত জমি যার টাকার মূল্য শত কোটি টাকা। 

স্থানীয় নেচার পার্ক এলাকায় মাত্র কিছু দিন আগে ক্রয় করেছে ইয়াবা ডন সাইফুলের পরিবারের কাছ থেকে লিজ জমিসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি, রয়েছে নামে বেনামে আরো শত কোটি টাকার সম্পদ একাধিক গাড়ি বাড়ি তো আছেই হঠাৎ করে এমন বে হিসেবি সম্পদের মালিকনা দেখে খোদ এলাকাবাসীও অবাক হচ্ছে। মাত্র কয়েক বছর আগেও যার পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা ছিল তার চলা ফেরা যেন রাজার হালতে। লাল বড়ির আর্শিবাদে বোরহান এখন নব্য কোটিপ্রতি। 

আলীখালীর হোসেন কোম্পানির গাড়ির হেলপার বোরহান রাতারাতি পিকাপ ট্রাকের চালক, এর পর থেকে আর তাকে আর পিছনে থাকাতে হয়নি, অবৈধ সম্পদের মালিক বোরহান, জেল কেটে বের হয়ে আবার শুরু করেছে ইয়াবা কারবার। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে এই ইয়াবা ব্যবসা। 

এসব সিন্ডিকেটসহ সকল মাদক কারবারীদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে এলাকা থেকে মাদক কারবারিদের অপতৎপরতা বন্ধ করা যাবেনা। আশংকাজনক হারে মাদক চোরাচালান বৃদ্ধি হলেও উল্লেখযোগ্য অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় সচেতন সমাজের মাঝে এক ধরণের হতাশা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে থাকা উক্ত সিন্ডিকেটের সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী বোরহান সিন্ডিকেটের  সদস্যদের দ্রুত সময়ে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।

লেদার মৃত নুরুল ইসলাম মেম্বারের পুত্র বোরহান উদ্দিন আত্মস্বীকৃত এক ইয়াবা কারবারী। শীর্ষ এই কারবারি জামিনে বেরিয়ে এসে লেদা-জাদীমুরা কেন্দ্র্রিক একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট তৈরী করেছেন বলে এলাকাবাসী জানায়। 

নতুন পুরাতন মিলে সিন্ডিকেটটি বেশ শক্তিশালী বলে জানা গেছে। তারা সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে ন্যাচারপার্ক সংলগ্ন বোরহানের মালিকানাধীন প্রজেক্ট ব্যবহার করে ইয়াবার চালান এনে হ্নীলার বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করছেন। এক সময়কার জীপ ড্রাইভার বোরহান এখন বড় এক শিল্পপতি। বন্দুকযুদ্ধে নিহত সাইফুল করিমের প্রধান এজেন্ট খ্যাত বোরহান। 

নাফনদীর কূল ঘেষে দমদমিয়াস্থ তার মালিকানাধীন মাছের প্রজেক্ট দিয়ে প্রতিনিয়ত ইয়াবা নিয়ে আসছে তার নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট। নিরাপদ ব্যবসা প্রসারের জন্য সুচতুর এই কারবারী সিন্ডিকেটভুক্ত করেছেন আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারী লেদার আবু তাহের, তার শ্যালক পারভেজ, খালাত ভাই তোফাইল, মুচনীর ইয়াবা শওকত আলী, জাদিমুড়ার পিচ্ছি করিম ও লেদা ক্যাম্প এলাকার ইয়াবা ডিলার মীর কাশেম।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. আব্দুল আলিম মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে জানিয়ে বলেন, নতুন-পুরাতন কোন মাদক কারবারিকে ছাড় দেওয়া হবেনা। ইয়াবা নির্মূলে তিনি পুলিশ আন্তরিক দিয়ে কাজ করছেন বলে জানান। এক্ষেত্রে তিনি স্থানীয় সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।

জানতে চাইলে র‌্যাব-১৫ টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসপি বিমান কুমার চন্দ্রাকার বলেন, আত্মস্বীকৃত হোক বা যেই হোক ইয়াবা ব্যবসায় জড়িতদের রক্ষা নেই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ