ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অর্থে সৈয়দপুরে নির্মিত হচ্ছে তিন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান


মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুরঃ

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থায়নে সৈয়দপুরে নির্মিত হচ্ছে তিনটি হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে এসবের নির্মাণ কাজ।

জানা যায়, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত রঞ্জন কুমার রায় বেঁচে থাকাকালে ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর এবং ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ দুই দফায় উপজেলার ১৯ টি হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারি বরাদ্দ চেয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দপুর পৌরসভাধীন বাইপাস সড়কস্থ কয়া মিস্ত্রিপাড়া শ্রীশ্রী শিব ঠাকুর মন্দির, মিস্ত্রিপাড়া শ্রীশ্রী শিব মন্দির ও বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের সোনাখুলী গ্রামে সর্বমঙ্গলা কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান উন্নয়নে ১০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ মিলে। ইতোমধ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মিস্ত্রিপাড়া শ্রীশ্রী শিব মন্দির কমিটির সভাপতি বলরাম পাল জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে অত্র মন্দিরের কাজ প্রায় সমাপ্ত করে ফেলেছে। আশা করি আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো কাজই শেষ হয়ে যাবে। কয়া মিস্ত্রিপাড়া শ্রীশ্রী শিব ঠাকুর মন্দির কমিটির সভাপতি কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, প্রভাবশালী এক ব্যবসায়ীর নানা বাধা-বিপত্তির মধ্যেও মন্দির নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, সৈয়দপুর পৌর শাখা এবং সর্বমঙ্গলা কেন্দ্রীয় মহাশ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক গোপাল চন্দ্র রায় জানান, শ্মশানের চুল্লির কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন চলছে প্লাষ্টারের কাজ। তবে পুরো কাজ দু’সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। 

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, সৈয়দপুর উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক যোগেন্দ্রনাথ রায় বলেন, আমার স্নেহস্পদ প্রয়াত রঞ্জন কুমার রায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন করেছিল বলেই আজ আমরা তিনটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে পারছি। তাঁর আত্নার শান্তি কামনা করে তিনি জানান, আগামিতে আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে চেষ্টা করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ