শ্যালিকার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক সাময়িক বরখাস্ত হলেন পঞ্চগড় মৌলভী শিক্ষক


মো. কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ

পঞ্চগড় সদর উপজলার চাকলাহাট ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়র সহকারী শিক্ষকক (মৌলভী) সাথে শ্যালিকার অনৈতিক সম্পর্ক করার অভিযোগ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরখাস্ত হওয়া সহকারী শিক্ষক হলেন মাওলানা হায়দার আলী। তিনি সিংরা রতনীবাড়ি দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার বাড়ি সদর উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের নারায়নপুর দওনিয়াপাড়া গ্রাম। ওই শিক্ষকর শ্বশুর একই স্কুলের নৈশ্য প্রহরী আশরাফুল ইসলাম তার মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কের বিচার চায়  লিখিত অভিযােগ করেন। বর্তমান ওই শিক্ষক শ্যালিকাকে নিয়ে সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নর একটি বাড়িতে অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুর হায়দার আলীক বরখাস্তর আবেদন পঞ্চগড় সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় প্রদান করা হয়। 

রতনীবাড়ি এলাকার স্থানীয় ও প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান মৌলভী শিক্ষক হায়দার আলী তার শ্বশুর বাড়ি চাকলা ইউনিয়নের অমরখানা গ্রাম অতিরিক্ত যাওয়া আসা করছিল। বার বার যাওয়া আসার সুযােগে শ্যালিকা শারমিন আকতারের সাথে গত এক মাস হতে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে হায়দার আলী। শারমিন আকতার সম্প্রতি পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ হতে এইচ এস সি পাস করেন। সম্পর্কর এক পর্যায়ে শারমিন আকতারকে নিয়ে স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় হায়দার আলী । ঘটনা জানাজানি হলে রতনীবাড়ি এলাকায় চাঞ্চলর সৃষ্টি হয়। করানাকালীন স্কুল বন্ধ থাকায়  প্রথম বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে মৌলভী শিক্ষক হায়দার আলী। তবে গত ২  সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীর বাবা একই স্কুলের নৈশ্য প্রহরী আশরাফুল ইসলাম শারমিন আকতারের সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযােগ প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি লিখিত অভিযােগ দায়ের করেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটি হায়দার আলীকে এ বিষয়ে কারন দর্শানাের নােটিশ প্রদান করে এবং ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্য ওই শিক্ষককে নােটিশের জবাব দিতে বলা হয়। 


গত ১২ সেপ্টেম্বর   ম্যানজিং কমিটির জরুরী সভায় মৌলভী শিক্ষক হায়দার আলীর  জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সর্বসম্মতিক্রমে বরখাস্তর সিদ্ধান্ত হয়। একই সাথে স্কুলের ভাবমূর্তি নস্ট করার অপরাধ হয়েছে বলেও সভায় উল্লেখ করা হয়। 

ওই স্কুলের একজন ছাত্রীর  অভিভাবক শিংরাড ভুজারি পাড়া গ্রামের  বাসিন্দা ক্ষােভ প্রকাশ করে বলেন আমরা মৌলভি শিক্ষক হায়দার আলীর কঠিন শাস্তি দাবি করছি। কারন একজন মৌলভি শিক্ষক যদি এরকম অনৈতিকভাবে শ্যালিকার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন তাহলে তা ছাত্রছাত্রীদের মাঝে এই প্রভাব পড়বে। শারমিন আকতার মেয়েটি এই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেছেন। 

এদিকে অভিযুক্ত মৌলভী শিক্ষক হায়দার আলীর সাথে মুঠাফােন যােগাযােগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে খবর প্রকাশ না করার অনুরাধ জানায়। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মঈন উদ্দিন জানান বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী আশরাফুল ইসলামের কন্যার সাথে অবৈধভাবে সহকারি শিক্ষক (মৌলভি) হায়দার আলীর অনৈতিক সম্পর্কের বিষয় একটি অভিযােগ পেয়েছি। পর ওই শিক্ষক কারন দর্শানাের নােটিশর সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ।  

পঞ্চগড় সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফু ইসলাম প্রমানিক জানান রতনীবাড়ি দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হায়দার আলীকে বরখাস্তর একটি আবেদন পেয়েছি। ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে । অভিযােগ প্রমানিত হলে আরও কঠাের সিদ্ধান্ত  নেওয়া হবে। বর্তমান তাকে অর্ধবতন সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ