পঞ্চগড়ে বাফার হাউজ থেকে শুরু হলো সার বিতরণ কার্যক্রম


মোঃ কামরুল ইসলাম কামু ,পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
 

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্রোরেশনের (বিসিআইসি) এবং যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানী লিমিটেডের নিয়ন্ত্রণাধীন পঞ্চগড়ে সারের বাফার গোডাউন থেকে বিসিআইসি ডিলারদের মাঝে ইউরিয়া সার বিতরণ শুরু হয়েছে। 

 ১৭আগস্ট দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ই্উসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, বোদা উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফারুক আলম টবি বক্তব্য দেন। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন, বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোলেমান আলী ও গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোবহান বাদশা, পঞ্চগড় জেলা ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল হান্নান শেখ, পঞ্চগড় চেম্বারের সভাপতি শরীফ হোসেন, পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুল আলমসহ বিসিআইসির সারের ডিলাররা উপস্থিত ছিলেন।

বিসিআইসি সুত্রে জানা যায়, জেলার ১৬০ জন ডিলারের মাধ্যমে চলতি মাসে দুই হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতদিন এসব ডিলার ঠাকুরগাঁও বাফার গুদাম থেকে সার উত্তোলন করে আসছিল। দুই জেলার ডিলারদের সার সরবরাহ করতে সময় ক্ষেপন হতো। ফলে জেলায় সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়। এ সুযোগে ডিলাররা সরকার নির্ধারিত ইউরিয়া সারের মূল্য বেশি নিত। গত বছরের ১ অক্টোবর লিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ূন ও রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পাশে ধনীপাড়ায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই গুদামটির উদ্বোধন করেন। নানান জটিলতায় গুদামটি চালু করা হয়নি। জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে এটি চালু হলো। ১০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতা হলেও বর্তমানে ১৬ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার রয়েছে। 

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, জেলায় ইউরিয়া সারের কোন সংকট নেই। পাঁচ উপজেলার নির্বাহী অফিসারদের নেতৃত্বে মনিটরিং করা হচ্ছে। কোথাও কোন সার বেশি দামে বিক্রি করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ