সৈয়দপুরে সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা ঈদের পোশাক ঈদ সেলামী বিতরণ


মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুরঃ

ঈদে নতুন জামা গায়ে দিয়ে ঘুরে বেড়াতে সব শিশুরই মন চায়  কিন্তু সবার ভাগ্যে তা জোটেনা। শিশু সামির। বয়স আনুমানিক ৮ বছর। বাবা নেই তার। তার গর্ভধারিণী দিন মজুর মায়ের উপার্জনে চলতো সংসার। কিন্তু করোনা মহামারিতে কর্মহীন হয়ে পড়ে তার মা। তাই ঈদে নতুন পোশাক পাওয়া নিয়ে সে ছিল শঙ্কায়। 

সে ধরেই নিয়েছিল এবার পুরোনো জামা ধুয়ে ঈদের নামাজ পড়তে যেতে হবে। তবে তার শঙ্কা দুর হলো নতুন জামা পেয়ে। আর এতে আনন্দে আত্মহারা। সামিরের মত এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর পাশে দাড়ালো আমাদের প্রিয় সৈয়দপুর নাম একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মহামারি করোনার কারণে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের হাতে তারা তুলে দিল ঈদের নতুন জামা আর ঈদের সেলামী। 

আজ সোমবার সকালে শহরের গোলাহাট রাজ্জাকিয়া গফুরিয়া মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে  শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন জামা উপহার দেয় সংগঠনের সদস্যরা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু। বিশেষ অতিথি  ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোস্তফিজুর রহমান সরকার মুন্না।এসময় উপস্থিত ছিলেন গফুরিয়া মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো. রফিকুল ইসলাম, আয়োজক সংগঠন আমাদের প্রিয় সৈয়দপুর'র ওয়াকার আনসারী, এসরার আনসারী, নওশাদ আনসারী, সামিউল আলিম, রাজা, সাজু, প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে প্রধান ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ শতাধিক শিশুর হাতে তুলে দেন ঈদের নতুন পোশাক। এসময় তাদের হাতে দেয়া হয় ঈদের সেলামী। শিশু কাশফি হাতে নতুন পোশাক আর সেলামী পেয়ে মহাখুশি তার  বাবা লকডাউনের কারণে বর্তমানে কর্মহীন। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ। কিন্তু এখনও তার জন্য নতুন জামা কিনতে পারেনি দুঃখী বাবা। সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী আমাদের প্রিয় সৈয়দপুরের পক্ষ থেকে দেয়া নতুন পোশাক পেয়ে সে এখন মহা  খুশি। কাশফি জানায়, এখন ঈদ তার ভালই কাটবে।

সংগঠনের অন্যতম সদস্য এসরার আনসারী বলেন, এবার সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক অসহায় শিশুর জন্য ঈদের নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোভিড-১৯ কারনে তেমন আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা অসহায়দের বাসায় বাসায় নতুন পোশাক পৌছে দিচ্ছে। এ কার্যক্রম ঈদের চাঁদরাত পর্যন্ত থাকবে।তিনি বলেন উপহার সামান্য হলেও শিশুদের মুখের হাসি আর ওদের প্রাপ্তির আনন্দই আমাদের স্বার্থকতা। এছাড়া চাঁদ রাতে শতাধিক পরিবারের মাঝে সেমাই, চিনি, দুধসহ অন্যান্য সামগ্রী দেয়া হবে বলে জানান তিনি ।

উল্লেখ্য ২০১৪ সাল থেকে খুব সামান্য আয়োজনে এসব শিশুদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে আসছে সংগঠনটি। প্রতি বছরই বাড়ছে এর পরিধি। এবারও শতাধিক শিশুদের হাতে ঈদের নতুন পোশাক পৌছে দিয়েছে তারা। সদস্য আর সুহৃদদের নিজস্ব তহবিল থেকেই তারা ছিন্নমূল শিশুদের নিয়ে কাজ করে আসছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ