জিআই তার তৈরী ফ্যাক্টরীর নির্গত বিষাক্ত এসিডে ঝলসে গেল প্রণোদনা পাওয়া চাষীর ফসলী ক্ষেত


রংপুর ব্যুরো অফিসঃ
   

সৈয়দপুরে কৃষি জমিতে গড়ে ওঠা জি.আই. তার তৈরী ফ্যাক্টরী থেকে নির্গত বিষাক্ত এসিডে ঝলসে গেছে কৃষকের প্রণোদনা পাওয়া ফসলি জমির ক্ষেত, ক্ষতিগ্রস্থ্র চাষীরা। কামারপুকুর সরকারপাড়ায় দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে অপরিকল্পিতভাবে কৃষি জমিতে গড়ে ওঠা এলাহী কুটির শিল্প নামে একটি জি.আই তার ও তারকাটা তৈরী ফ্যাক্টরী থেকে বর্জ হিসাবে বিষাক্ত উত্তপ্ত পানি, সালফার এসিড ও বিষাক্ত ধোয়ায় এ এলাকার মাটির উর্বরা শক্তি যেমন কমে যাচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

ঝলসে যাচ্ছে ফসলি জমি এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। বর্গাচাষী নাজমুল হুদা সরকার বলেন, সরকারের প্রণোদনায় কৃষি অফিস থেকে ভুট্টার বীজ সহ বিভিন্ন সহযোগীতা পেয়েছি। ১০ বিঘা জমিতে আমি ভুট্টা রোপন করেছি। এলাহী কুটির শিল্পের গরম বাতাস বিষাক্ত ধোয়া আর তাদের ব্যবহৃত এসিডের পানিতে জমির ভুট্টা ক্ষেত পুরে গেছে যা ১ বিঘার মত হবে। কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন ঐসব কারখানার বিষাক্ত পানি আমার জমিতে পরায় আমার রোপনকৃত ধানগাছ পুরে জমি ফাকা হয়ে গেছে বাকি গুলো বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শাহিনা বেগম ক্ষতিগ্রস্থ ভুট্টা ক্ষেত পরিদর্শন করে বলেন, প্রায় ১ বিঘার মত জমির ভুট্টা গাছ নষ্ট হয়ে গেছে আমরা ফ্যাক্টরী ঘুরে দেখেছি, সরকারী প্রণোদনার বীজ সার দিয়ে চাষী এ জমিতে আবাদ করেছে। আমরা জমির মালিক ও ফ্যাক্টরীর মালিকে ডেকেছি। মাটির নমুনা পরীক্ষা করলে জানা যাবে মূল ঘটনাটি কি ছিল? এ বিষয়ে ফ্যাক্টরীর মালিক মোঃ বদরুজ্জোহা বলেন ঐ বর্গাচাষী প্রতিবছরেই এ রকম ঝামেলা করে। ফ্যাক্টরীর আশেপাশে আবাদ করে আর ক্ষতি পূরণ দাবী করে। 

কামারপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন অবশ্যই ফ্যাক্টরীর বিষাক্ত ধোয়া এসিডের কারণে ভুট্টা ও ধান নষ্ট হয়েছে। অন্যান্য জমিগুলোর ফসল গাছ বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। কামার পুকুর ইউনিয়নে ইটভাটা ও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো নিয়মমত ক্ষতিপুরণ দিয়ে কৃষকদের সাথে সমজতা করে আসছে। এলাহী কুটির শিল্প এই তারকাটা ফ্যাক্টরীটির পরিকল্পনা না থাকায় গত ৩ বছর ধরে কৃষকরা এরকম নানা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। আমরা জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ